Sign Up

What is the capital of Egypt? ( Cairo )

Have an account? Sign In Now

Sign In

আমাদের সাথে থাকুন এবং কোশ্চেন এবং জ্ঞান বিনিময় এর মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করুন।

Sign Up Here

What is the capital of Egypt? ( Cairo )

Forgot Password?

Don't have account, Sign Up Here

Forgot Password

আপনার পাসওয়ার্ডটি ভুলে গেলে এইখান থেকে রিসেট করে নিন । যে কোন সমস্যার জন্য আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন ।

Have an account? Sign In Now

You must login to ask a question.

What is the capital of Egypt? ( Cairo )

Forgot Password?

Need An Account, Sign Up Here

You must login to ask a question.

What is the capital of Egypt? ( Cairo )

Forgot Password?

Need An Account, Sign Up Here

Please briefly explain why you feel this question should be reported.

Please briefly explain why you feel this answer should be reported.

Please briefly explain why you feel this user should be reported.

Sign InSign Up

অবগত

অবগত Logo অবগত Logo

অবগত Navigation

  • Home
  • আমাদের সম্পর্ক
  • ব্লগ
  • যোগাযোগ
Search
Ask A Question

Mobile menu

Close
Ask A Question
  • Home
  • আমাদের সম্পর্ক
  • ব্লগ
  • যোগাযোগ

anonymous

Enlightened
Ask anonymous
52 Visits
1 Follower
0 Questions
Home/anonymous/Answers
  • About
  • Questions
  • Polls
  • Answers
  • Best Answers
  • Followed
  • Favorites
  • Asked Questions
  • Groups
  • Joined Groups
  • Managed Groups
  1. Asked: January 23, 2025In: আইন, কি, বিজ্ঞান, শিক্ষা

    ফার্ম ও শিল্পের মধ্যে পার্থক্য কি ?

    anonymous
    anonymous Enlightened
    Added an answer on January 28, 2025 at 2:31 am

    আমরা প্রতিদিন যেসব জিনিস ব্যবহার করি, সেগুলো কোথা থেকে আসে? কিছু জিনিস আমরা খেয়ে ফেলি, আবার কিছু জিনিস আমরা ব্যবহার করি। এই সব জিনিস তৈরি হয় দুই ধরনের জায়গায় - ফার্ম এবং শিল্প। ফার্ম কী? ফার্ম হলো এমন এক জায়গা যেখানে আমরা খাবার জিনিস যেমন ধান, গম, ফল, সবজি, দুধ, মাছ ইত্যাদি উৎপাদন করি। ফার্মে সRead more

    আমরা প্রতিদিন যেসব জিনিস ব্যবহার করি, সেগুলো কোথা থেকে আসে? কিছু জিনিস আমরা খেয়ে ফেলি, আবার কিছু জিনিস আমরা ব্যবহার করি। এই সব জিনিস তৈরি হয় দুই ধরনের জায়গায় – ফার্ম এবং শিল্প।

    ফার্ম কী?

    ফার্ম হলো এমন এক জায়গা যেখানে আমরা খাবার জিনিস যেমন ধান, গম, ফল, সবজি, দুধ, মাছ ইত্যাদি উৎপাদন করি। ফার্মে সাধারণত মাটি, জল, সূর্যের আলো এবং প্রাণীদের সাহায্য নিয়ে এই খাবার জিনিসগুলো উৎপাদন করা হয়।

    শিল্প কী?

    শিল্প হলো এমন এক জায়গা যেখানে বিভিন্ন ধরনের পণ্য তৈরি করা হয়। এই পণ্যগুলো তৈরি করতে বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রপাতি, কাঁচামাল এবং শ্রমিকদের প্রয়োজন হয়।

    ফার্ম এবং শিল্পের মধ্যে পার্থক্য

    বিষয়ফার্মশিল্প
    সংজ্ঞাপ্রাকৃতিক সম্পদ উৎপাদনের জন্য নির্দিষ্ট জমি বা জায়গা।কাঁচামাল প্রক্রিয়াজাত করে পণ্য তৈরির ক্ষেত্র।
    কাজের ধরনকৃষিকাজ, পশুপালন, মৎস্যচাষ ইত্যাদি।উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও প্যাকেজিং।
    উদাহরণধান চাষের ক্ষেত, পোলট্রি ফার্ম।বস্ত্রশিল্প, ইস্পাত কারখানা।
    প্রধান লক্ষ্যখাদ্য বা প্রাকৃতিক সম্পদ উৎপাদন।নতুন পণ্য তৈরি বা প্রক্রিয়াজাতকরণ।
    পরিবেশের উপর প্রভাবসাধারণত পরিবেশবান্ধব।পরিবেশ দূষণের ঝুঁকি বেশি।
    প্রযুক্তির ব্যবহারকম প্রযুক্তি বা ম্যানুয়াল পদ্ধতি।আধুনিক প্রযুক্তি ও যন্ত্রপাতি ব্যবহার।
    কর্মসংস্থানস্থানীয় ও গ্রামীণ মানুষের জন্য কর্মসংস্থান।শহর ও শিল্প এলাকায় কর্মসংস্থান তৈরি।
    উৎপাদনের ধরনমৌসুমভিত্তিক বা নির্দিষ্ট সময়ে।বছরব্যাপী বা ধারাবাহিক উৎপাদন।
    বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটধান চাষ, মাছ চাষ, গরুর খামার।গার্মেন্টস শিল্প, সিমেন্ট কারখানা।
    অর্থনৈতিক ভূমিকাখাদ্য নিরাপত্তা ও গ্রামীণ অর্থনীতির ভিত্তি।রপ্তানি ও দেশের শিল্পায়নের মূল চালিকাশক্তি।

     

    উদাহরণ দিয়ে সহজ ব্যাখ্যা

    • ফার্ম: বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে ধান চাষের জন্য বড় বড় ফার্ম রয়েছে। এই ফার্মগুলো দেশের খাদ্য চাহিদা মেটাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
    • শিল্প: ঢাকার আশেপাশে অনেক গার্মেন্টস কারখানা রয়েছে, যেগুলো দেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি করে।

    বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট

    বাংলাদেশ একটি কৃষিনির্ভর দেশ হওয়ায় এখানে প্রচুর ফার্ম রয়েছে। ধান, গম, মাছ এবং পোলট্রি উৎপাদন ফার্মের বড় উদাহরণ। অন্যদিকে, গার্মেন্টস শিল্প, সিমেন্ট উৎপাদন এবং জাহাজ নির্মাণ শিল্প দেশের অর্থনীতির একটি বড় অংশ।

    See less
      • 0
    • Share
      Share
      • Share on Facebook
      • Share on Twitter
      • Share on LinkedIn
      • Share on WhatsApp
      • Report
  2. Asked: January 23, 2025In: কি, জীববিজ্ঞান, বিজ্ঞান, রসায়ন

    ভৌত পরিবর্তন ও রাসায়নিক পরিবর্তনের মধ্যে পার্থক্য কি ?

    anonymous
    anonymous Enlightened
    Added an answer on January 28, 2025 at 2:28 am

    আমাদের চারপাশে প্রতিনিয়ত নানা ধরনের পরিবর্তন ঘটতে থাকে। একটা কাগজ ছিঁড়ে ফেললে, একটা বরফ গলে গেলে, বা একটা লোহার পাত্রে মরিচা ধরলে - এগুলো সবই পরিবর্তনের উদাহরণ। কিন্তু এই সব পরিবর্তন একই রকম নয়। বিজ্ঞানীরা এই পরিবর্তনগুলোকে দুই ভাগে ভাগ করেছেন: ভৌত পরিবর্তন এবং রাসায়নিক পরিবর্তন। ভৌত পরিবর্তন কীRead more

    আমাদের চারপাশে প্রতিনিয়ত নানা ধরনের পরিবর্তন ঘটতে থাকে। একটা কাগজ ছিঁড়ে ফেললে, একটা বরফ গলে গেলে, বা একটা লোহার পাত্রে মরিচা ধরলে – এগুলো সবই পরিবর্তনের উদাহরণ। কিন্তু এই সব পরিবর্তন একই রকম নয়। বিজ্ঞানীরা এই পরিবর্তনগুলোকে দুই ভাগে ভাগ করেছেন: ভৌত পরিবর্তন এবং রাসায়নিক পরিবর্তন।

    ভৌত পরিবর্তন কী?

    ভৌত পরিবর্তন হলো এমন এক ধরনের পরিবর্তন যেখানে কোনো পদার্থের গঠন বা রাসায়নিক বৈশিষ্ট্য পরিবর্তিত হয় না, শুধুমাত্র তার আকার, আকৃতি বা অবস্থা পরিবর্তিত হয়।

    উদাহরণ: একটা বরফের টুকরোকে গরম করলে তা জলে পরিণত হয়। এখানে বরফের অণুগুলো একটু দূরে সরে গিয়ে জলের অণুতে পরিণত হয়। কিন্তু জলের অণুগুলোর গঠন একই থাকে।

    রাসায়নিক পরিবর্তন কী?

    রাসায়নিক পরিবর্তন হলো এমন এক ধরনের পরিবর্তন যেখানে কোনো পদার্থের গঠন বা রাসায়নিক বৈশিষ্ট্য পরিবর্তিত হয় এবং এক বা একাধিক নতুন পদার্থ তৈরি হয়।

    উদাহরণ: লোহার উপর মরিচা পড়লে লোহা ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যায় এবং একটি নতুন পদার্থ তৈরি হয়, যাকে মরিচা বলে। এখানে লোহার অণুগুলি অক্সিজেনের সাথে যুক্ত হয়ে একটি নতুন পদার্থ তৈরি করেছে।

    ভৌত পরিবর্তন ও রাসায়নিক পরিবর্তনের মধ্যে পার্থক্য

    বিষয়ভৌত পরিবর্তনরাসায়নিক পরিবর্তন
    সংজ্ঞাবাহ্যিক অবস্থা বা আকার পরিবর্তিত হয়।
    রাসায়নিক গঠন পরিবর্তিত হয় এবং নতুন পদার্থ সৃষ্টি হয়।
    গঠনপদার্থের রাসায়নিক গঠন অপরিবর্তিত থাকে।পদার্থের রাসায়নিক গঠন পরিবর্তিত হয়।
    উদাহরণবরফ গলে পানি হওয়া।কাঠ পোড়ালে ছাই হওয়া।
    নতুন পদার্থ সৃষ্টিকোনো নতুন পদার্থ সৃষ্টি হয় না।নতুন পদার্থ সৃষ্টি হয়।
    প্রকৃতিসাধারণত উল্টানো যায় (রিভার্সিবল)।সাধারণত উল্টানো যায় না (ইররিভার্সিবল)।
    শারীরিক বৈশিষ্ট্যআকার, রং, অবস্থা ইত্যাদি পরিবর্তিত হয়।গন্ধ, স্বাদ, রং বা তাপ উৎপন্ন হয়।
    শক্তির পরিবর্তনশক্তির খুব কম পরিবর্তন ঘটে।
    তাপ, আলো বা শব্দের মতো শক্তি উৎপন্ন বা শোষিত হয়।
    পরীক্ষার মাধ্যমসহজে পর্যবেক্ষণ করা যায়।রাসায়নিক পরীক্ষা প্রয়োজন হতে পারে।
    পরিবর্তনের ধরনসাময়িক পরিবর্তন।স্থায়ী পরিবর্তন।
    বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটপানি জমে বরফ হওয়া।রান্নার সময় চাল সিদ্ধ হওয়া।

     

    উদাহরণ দিয়ে সহজ ব্যাখ্যা

    • ভৌত পরিবর্তন: আপনি যদি একটি কাগজ টুকরো টুকরো করেন, এটি ভৌত পরিবর্তন। কারণ কাগজ কেবল আকারে পরিবর্তিত হয়েছে, তার গঠন পরিবর্তিত হয়নি।
    • রাসায়নিক পরিবর্তন: একটি মোমবাতি জ্বালালে মোম গলে যায় (ভৌত পরিবর্তন), কিন্তু মোম যখন জ্বলে, তখন কার্বন ডাই অক্সাইড এবং জলীয় বাষ্প তৈরি হয়, যা রাসায়নিক পরিবর্তন।

    বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট

    বাংলাদেশের আবহাওয়ায় ভৌত পরিবর্তনের উদাহরণ হলো পানি জমে বরফ হওয়া এবং রাসায়নিক পরিবর্তনের উদাহরণ হলো লোহায় মরিচা পড়া। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে এই দুই প্রকার পরিবর্তনই গুরুত্বপূর্ণ।

    See less
      • 0
    • Share
      Share
      • Share on Facebook
      • Share on Twitter
      • Share on LinkedIn
      • Share on WhatsApp
      • Report
  3. Asked: January 23, 2025In: কি, জীববিজ্ঞান, ধর্ম

    মুদারাবা ও মুশারাকার পার্থক্য কি ?

    anonymous
    anonymous Enlightened
    Added an answer on January 28, 2025 at 2:26 am

    ইসলামি অর্থনীতির দুটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো মুদারাবা ও মুশারাকা। এই দুটি শব্দ শুনলে অনেকেই হয়তো একটু অবাক হবেন। আসলে, এই দুটি ধারণা ইসলামী ব্যাংকিং ও অর্থনীতিতে ব্যবসা ও অর্থ লেনদেনের একটি বিশেষ পদ্ধতি। আসুন জেনে নিই এই দুটির মধ্যে কী পার্থক্য। মুদারাবা কী? মুদারাবা হলো ইসলামি অর্থনীতিতে একটি ধরনেরRead more

    ইসলামি অর্থনীতির দুটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো মুদারাবা ও মুশারাকা। এই দুটি শব্দ শুনলে অনেকেই হয়তো একটু অবাক হবেন। আসলে, এই দুটি ধারণা ইসলামী ব্যাংকিং ও অর্থনীতিতে ব্যবসা ও অর্থ লেনদেনের একটি বিশেষ পদ্ধতি। আসুন জেনে নিই এই দুটির মধ্যে কী পার্থক্য।

    মুদারাবা কী?

    মুদারাবা হলো ইসলামি অর্থনীতিতে একটি ধরনের অংশীদারিত্ব। এখানে একজন ব্যক্তি (মালিক) তার টাকা দিয়ে ব্যবসা শুরু করে এবং অন্য একজন ব্যক্তি (মুদারিব) তার দক্ষতা ও পরিশ্রম দিয়ে সেই ব্যবসা পরিচালনা করে। ব্যবসায়ে লাভ হলে তা নির্দিষ্ট অনুপাতে মালিক ও মুদারিবের মধ্যে ভাগ হয়ে যায়। কিন্তু লোকসান হলে শুধুমাত্র মালিকই লোকসান বহন করবে।

    উদাহরণ: একজন ব্যক্তির কাছে অনেক টাকা আছে কিন্তু ব্যবসা করার জ্ঞান নেই। অন্য একজন ব্যক্তি ব্যবসা করতে চায় কিন্তু তার কাছে টাকা নেই। এই দুইজন মিলে মুদারাবার চুক্তি করতে পারে। প্রথম ব্যক্তি তার টাকা দেবে এবং দ্বিতীয় ব্যক্তি ব্যবসা পরিচালনা করবে।

    মুশারাকা কী?

    মুশারাকাও ইসলামি অর্থনীতিতে একটি ধরনের অংশীদারিত্ব। মুদারাবার মতোই এখানেও দুই বা ততোধিক ব্যক্তি মিলে ব্যবসা করে। তবে মুশারাকায় সবাই মূলধন দেয় এবং সবাই মিলে ব্যবসা পরিচালনা করে। ব্যবসায়ে লাভ হলে তা সবার মধ্যে নির্দিষ্ট অনুপাতে ভাগ হয়ে যায় এবং লোকসান হলে সবাই মিলে লোকসান বহন করে।

    উদাহরণ: দুই বন্ধু মিলে একটি রেস্টুরেন্ট খুলতে চায়। একজন তার সঞ্চয় দেবে এবং অন্যজন তার অভিজ্ঞতা ও সময় দেবে। তারা মিলে রেস্টুরেন্টটি পরিচালনা করবে এবং লাভ হলে তা ভাগ করে নেবে।

    মুদারাবা ও মুশারাকার মধ্যে পার্থক্য

    বিষয়মুদারাবামুশারাকা
    সংজ্ঞাএক পক্ষ মূলধন দেয়, আরেক পক্ষ ব্যবসা পরিচালনা করে।সব পক্ষ মূলধন ও শ্রম উভয়ই প্রদান করে।
    মূলধন প্রদানকারীশুধুমাত্র রাব-উল-মাল (মূলধন প্রদানকারী)।সব অংশীদার মূলধন প্রদান করে।
    ব্যবসা পরিচালনামুদারিব ব্যবসা পরিচালনা করে।সব অংশীদার ব্যবসা পরিচালনায় অংশ নেয়।
    লাভ বণ্টনপূর্বনির্ধারিত অনুপাতে ভাগ হয়।মূলধনের অনুপাত অনুযায়ী ভাগ হয়।
    ক্ষতির দায়িত্বমূলধন প্রদানকারী ক্ষতির দায় বহন করে।সব অংশীদার ক্ষতির দায় বহন করে।
    উদাহরণএকজন উদ্যোক্তা ব্যাংকের মূলধনে ব্যবসা শুরু করে।
    দুই ব্যক্তি একটি দোকান চালানোর জন্য মূলধন ও শ্রম দেয়।
    ঝুঁকির মাত্রাঝুঁকি মূলত মূলধন প্রদানকারীর।ঝুঁকি সব অংশীদারের মধ্যে ভাগ হয়।
    চুক্তির ধরনএটি একতরফা চুক্তি।এটি যৌথ অংশীদারি চুক্তি।
    ব্যবহার ক্ষেত্রবিনিয়োগ ও ক্ষুদ্র ব্যবসার জন্য উপযোগী।বৃহৎ ব্যবসা ও যৌথ প্রকল্পের জন্য উপযোগী।
    বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটইসলামি ব্যাংকিংয়ে মুদারাবা পদ্ধতি জনপ্রিয়।বড় শিল্প প্রকল্পে মুশারাকা চুক্তি ব্যবহৃত হয়।

     

    উদাহরণ দিয়ে সহজ ব্যাখ্যা

    • মুদারাবা: একটি ব্যাংক একজন উদ্যোক্তাকে ১০ লাখ টাকা মূলধন প্রদান করল। উদ্যোক্তা লাভের ৭০% নেবে এবং ব্যাংক ৩০% নেবে।
    • মুশারাকা: দুই ব্যক্তি একটি ফার্ম চালানোর জন্য ৫ লাখ টাকা করে বিনিয়োগ করল। লাভ ও ক্ষতি ৫০:৫০ অনুপাতে ভাগ হবে।

    বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট

    বাংলাদেশে ইসলামি ব্যাংকিং ব্যবস্থায় মুদারাবা ও মুশারাকা উভয়ই ব্যবহৃত হয়। ক্ষুদ্র ব্যবসায়িক উদ্যোগে মুদারাবা বেশি দেখা যায়, আর বৃহৎ শিল্প প্রকল্পে মুশারাকা চুক্তি কার্যকর।

    See less
      • 0
    • Share
      Share
      • Share on Facebook
      • Share on Twitter
      • Share on LinkedIn
      • Share on WhatsApp
      • Report
  4. Asked: January 23, 2025In: কি, জীববিজ্ঞান, বিজ্ঞান, রাজনীতি

    মৌলিক অধিকার ও মানবাধিকারের মধ্যে পার্থক্য কি ?

    anonymous
    anonymous Enlightened
    Added an answer on January 28, 2025 at 2:23 am

    আমরা প্রায়ই মৌলিক অধিকার এবং মানবাধিকার শব্দ দুটি শুনি। কিন্তু অনেকেই হয়তো জানেন না, এই দুটি শব্দ একই অর্থে ব্যবহৃত হয় না। আসুন জেনে নিই এই দুটির মধ্যে কী কী পার্থক্য। মৌলিক অধিকার কী? মৌলিক অধিকার হলো আমাদের সংবিধানে দেওয়া এমন কিছু অধিকার যা সবার জন্য সমান। এই অধিকারগুলোকে সরকার বা অন্য কেউ কেডRead more

    আমরা প্রায়ই মৌলিক অধিকার এবং মানবাধিকার শব্দ দুটি শুনি। কিন্তু অনেকেই হয়তো জানেন না, এই দুটি শব্দ একই অর্থে ব্যবহৃত হয় না। আসুন জেনে নিই এই দুটির মধ্যে কী কী পার্থক্য।

    মৌলিক অধিকার কী?

    মৌলিক অধিকার হলো আমাদের সংবিধানে দেওয়া এমন কিছু অধিকার যা সবার জন্য সমান। এই অধিকারগুলোকে সরকার বা অন্য কেউ কেড়ে নিতে পারে না। মৌলিক অধিকারগুলো আমাদের জীবন, স্বাধীনতা, সমানতা এবং অন্যান্য মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করে।

    মানবাধিকার কী?

    মানবাধিকার হলো এমন কিছু অধিকার যা সব মানুষের জন্মগতভাবে থাকে। এই অধিকারগুলো কোনো নির্দিষ্ট দেশ বা সংবিধানের উপর নির্ভর করে না। মানবাধিকার হলো সবার জন্য সর্বজনীন এবং অবিচ্ছেদ্য।

    মৌলিক অধিকার ও মানবাধিকারের মধ্যে পার্থক্য

    বিষয়মৌলিক অধিকারমানবাধিকার
    সংজ্ঞাদেশের সংবিধান দ্বারা স্বীকৃত অধিকার।মানুষের জন্মগত ও সার্বজনীন অধিকার।
    প্রকৃতিনির্দিষ্ট দেশের নাগরিকদের জন্য প্রযোজ্য।সারা বিশ্বের মানুষের জন্য প্রযোজ্য।
    উৎসদেশের সংবিধান।
    জাতিসংঘের মানবাধিকার ঘোষণাপত্র ও আন্তর্জাতিক আইন।
    অধিকার প্রদানকারীদেশের সরকার।আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং মানবিক মূল্যবোধ।
    আইনি সুরক্ষাসংবিধান লঙ্ঘিত হলে আদালতে মামলা করা যায়।জাতিসংঘ বা আন্তর্জাতিক সংস্থা দ্বারা সুরক্ষিত।
    প্রযোজ্যতাকেবল দেশের নাগরিকদের জন্য।সব মানুষ, জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে।
    অধিকার সীমাবদ্ধতাবিশেষ পরিস্থিতিতে সরকার মৌলিক অধিকার সীমিত করতে পারে।
    মানবাধিকার সীমিত করা কঠিন এবং নৈতিকভাবে অগ্রহণযোগ্য।
    উদাহরণবাকস্বাধীনতা, ধর্মীয় স্বাধীনতা, শিক্ষা অধিকার।বেঁচে থাকার অধিকার, নির্যাতন থেকে মুক্তি।
    অবস্থানদেশের সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত।আন্তর্জাতিক আইন ও নীতিতে অন্তর্ভুক্ত।
    বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটসংবিধানের তৃতীয় ভাগে মৌলিক অধিকার উল্লেখ আছে।
    মানবাধিকার সংরক্ষণের জন্য বাংলাদেশ জাতিসংঘের সাথে যুক্ত।

     

    উদাহরণ দিয়ে সহজ ব্যাখ্যা

    • মৌলিক অধিকার: বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী, প্রত্যেক নাগরিকের শিক্ষা লাভের অধিকার রয়েছে।
    • মানবাধিকার: পৃথিবীর যেকোনো স্থানে একজন মানুষকে অন্যায়ভাবে নির্যাতন করা মানবাধিকারের লঙ্ঘন।

    বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট

    বাংলাদেশের সংবিধান নাগরিকদের মৌলিক অধিকার রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে মানবাধিকার রক্ষার জন্য বাংলাদেশ জাতিসংঘের মানবাধিকার সনদ মেনে চলে।

    See less
      • 0
    • Share
      Share
      • Share on Facebook
      • Share on Twitter
      • Share on LinkedIn
      • Share on WhatsApp
      • Report
  5. Asked: January 23, 2025In: কি, রাজনীতি, শিক্ষা

    রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে পার্থক্য কি ?

    anonymous
    anonymous Enlightened
    Added an answer on January 28, 2025 at 2:20 am

    আমরা প্রায়ই রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী এই দুই শব্দ শুনি। কিন্তু অনেকেই হয়তো জানেন না, এই দুই ব্যক্তির কাজ ও দায়িত্ব একই নয়। আসুন জেনে নিই তাদের মধ্যে কী কী পার্থক্য। রাষ্ট্রপতি কে? রাষ্ট্রপতি হলেন দেশের একজন খুবই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। তিনি দেশের প্রতীক। রাষ্ট্রপতি দেশের সবচেয়ে বড় পদে থাকেন। তিRead more

    আমরা প্রায়ই রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী এই দুই শব্দ শুনি। কিন্তু অনেকেই হয়তো জানেন না, এই দুই ব্যক্তির কাজ ও দায়িত্ব একই নয়। আসুন জেনে নিই তাদের মধ্যে কী কী পার্থক্য।

    রাষ্ট্রপতি কে?

    রাষ্ট্রপতি হলেন দেশের একজন খুবই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। তিনি দেশের প্রতীক। রাষ্ট্রপতি দেশের সবচেয়ে বড় পদে থাকেন। তিনি দেশের সবচেয়ে উচ্চ পদস্থ ব্যক্তি হিসেবে বিবেচিত হন।

    প্রধানমন্ত্রী কে?

    প্রধানমন্ত্রী হলেন দেশের সরকারপ্রধান। তিনি দেশের দৈনন্দিন কাজের দেখাশোনা করেন। প্রধানমন্ত্রী হলেন সরকারের প্রধান এবং তিনিই সরকারের সবচেয়ে শক্তিশালী ব্যক্তি।

    রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে পার্থক্য

    বিষয়রাষ্ট্রপতি (President)প্রধানমন্ত্রী (Prime Minister)
    পদমর্যাদারাষ্ট্রের সর্বোচ্চ সাংবিধানিক প্রধান।সরকারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা।
    নির্বাচন পদ্ধতিসংসদ সদস্যদের দ্বারা নির্বাচিত হন।
    জনগণের ভোটে নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের মধ্য থেকে মনোনীত হন।
    ক্ষমতাপ্রতীকী ক্ষমতার অধিকারী; সংবিধান রক্ষা করেন।
    প্রশাসনিক ও কার্যকর ক্ষমতার অধিকারী; নীতি নির্ধারণ করেন।
    কার্যকালসাধারণত ৫ বছর।
    ৫ বছর, তবে সংসদের আস্থা থাকলে তা অব্যাহত থাকে।
    প্রধান দায়িত্বসংবিধান রক্ষা, আইন অনুমোদন, বিচারপতি নিয়োগ।সরকার পরিচালনা, নীতি প্রণয়ন, বাজেট পাস।
    অধিবেশন সম্পর্কিত ভূমিকাসংসদ অধিবেশনের উদ্বোধন করেন।সংসদে আইন প্রণয়ন ও আলোচনার নেতৃত্ব দেন।
    প্রতিনিধিত্বরাষ্ট্রের প্রতীকী প্রতিনিধি।সরকার পরিচালনার মূল প্রতিনিধি।
    সামরিক ভূমিকাসশস্ত্র বাহিনীর সর্বোচ্চ প্রধান।সামরিক সিদ্ধান্ত কার্যকর করেন।
    উদাহরণরাষ্ট্রপতি সংসদে ভাষণ দেন।প্রধানমন্ত্রী বাজেট উপস্থাপন করেন।
    বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটরাষ্ট্রপতি হলেন দেশের সংবিধানের অভিভাবক।
    প্রধানমন্ত্রী দেশের প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনা করেন।

     

    উদাহরণ দিয়ে সহজ ব্যাখ্যা

    • রাষ্ট্রপতি: বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি সংসদে নতুন বছরের অধিবেশন শুরু করার সময় ভাষণ দেন।
    • প্রধানমন্ত্রী: বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী দেশের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে উন্নয়নের জন্য নতুন প্রকল্প গ্রহণ করেন।

    বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট

    বাংলাদেশে রাষ্ট্রপতি প্রতীকী ক্ষমতার অধিকারী এবং দেশের ঐক্যের প্রতীক হিসেবে কাজ করেন। অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রী হলেন দেশের প্রশাসনিক প্রধান, যিনি সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

    See less
      • 0
    • Share
      Share
      • Share on Facebook
      • Share on Twitter
      • Share on LinkedIn
      • Share on WhatsApp
      • Report
  6. Asked: January 23, 2025In: কি, রাজনীতি

    লোকসভা ও বিধানসভা পার্থক্য কি ?

    anonymous
    anonymous Enlightened
    Added an answer on January 28, 2025 at 2:17 am

    আমরা প্রায়ই লোকসভা ও বিধানসভা শব্দ দুটি শুনি। কিন্তু অনেকেই এই দুটির মধ্যে পার্থক্য জানেন না। আসলে, লোকসভা ও বিধানসভা দুটি ভিন্ন ধরনের সংসদ। আসুন জেনে নিই এই দুটির মধ্যে কী কী পার্থক্য। লোকসভা কী? লোকসভা হলো ভারতের সংসদের নিম্নকক্ষ। একে জনগণের কক্ষও বলা হয় কারণ লোকসভার সদস্যদের আমরাই, মানে জনগণ, ভRead more

    আমরা প্রায়ই লোকসভা ও বিধানসভা শব্দ দুটি শুনি। কিন্তু অনেকেই এই দুটির মধ্যে পার্থক্য জানেন না। আসলে, লোকসভা ও বিধানসভা দুটি ভিন্ন ধরনের সংসদ। আসুন জেনে নিই এই দুটির মধ্যে কী কী পার্থক্য।

    লোকসভা কী?

    লোকসভা হলো ভারতের সংসদের নিম্নকক্ষ। একে জনগণের কক্ষও বলা হয় কারণ লোকসভার সদস্যদের আমরাই, মানে জনগণ, ভোট দিয়ে নির্বাচিত করি। লোকসভা হলো দেশের সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে শক্তিশালী সংসদ।

    বিধানসভা কী?

    বিধানসভা হলো ভারতের প্রতিটি রাজ্যের সংসদ। একে রাজ্যের বিধানসভাও বলা হয়। বিধানসভার সদস্যদেরও জনগণ ভোট দিয়ে নির্বাচিত করে। বিধানসভা রাজ্যের জন্য আইন তৈরি করে এবং রাজ্যের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করে।

    লোকসভা ও বিধানসভার মধ্যে পার্থক্য

    বিষয়লোকসভা (Lok Sabha)বিধানসভা (Vidhan Sabha)
    সংজ্ঞাভারতের সংসদের নিম্নকক্ষ, যা জাতীয় স্তরে কাজ করে।
    রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের আইন প্রণয়নকারী প্রতিষ্ঠান।
    স্তরকেন্দ্রীয় স্তরের আইন প্রণয়ন ও নীতি গ্রহণ।রাজ্য স্তরের আইন প্রণয়ন ও প্রশাসনিক কাজ।
    সদস্য নির্বাচনজনগণের সরাসরি ভোটে সদস্য নির্বাচন করা হয়।
    রাজ্যের ভোটারদের মাধ্যমে সরাসরি সদস্য নির্বাচন।
    সদস্য সংখ্যাসর্বাধিক ৫৫২ জন (জনসংখ্যার উপর নির্ভর করে)।রাজ্যের আকার অনুযায়ী সদস্য সংখ্যা ভিন্ন হয়।
    কার্যকালপাঁচ বছর।সাধারণত পাঁচ বছর।
    ক্ষমতাজাতীয় আইন প্রণয়ন, বাজেট পাস করা, প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন।
    রাজ্য স্তরের আইন প্রণয়ন, বাজেট পাস করা, মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচন।
    নেতৃত্বপ্রধানমন্ত্রী নেতৃত্ব দেন।মুখ্যমন্ত্রী নেতৃত্ব দেন।
    অধিকারপুরো দেশের জন্য আইন প্রণয়ন।শুধুমাত্র সংশ্লিষ্ট রাজ্যের জন্য আইন প্রণয়ন।
    উদাহরণভারতের নাগরিকত্ব আইন।পশ্চিমবঙ্গের ভূমি সংস্কার আইন।
    সংবিধান অনুযায়ী ধারাভারতীয় সংবিধানের ধারা ৭৯-১২২।ভারতীয় সংবিধানের ধারা ১৬৮-২১২।
    অবস্থানদিল্লির সংসদ ভবনে।প্রতিটি রাজ্যের রাজধানীতে।

     

    উদাহরণ দিয়ে সহজ ব্যাখ্যা

    • লোকসভা: ভারতের নতুন শিক্ষানীতি নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে লোকসভায় আলোচনা হয়।
    • বিধানসভা: পশ্চিমবঙ্গের স্কুলে বাংলা ভাষা বাধ্যতামূলক করার জন্য বিধানসভায় আইন পাস হয়।

    বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট

    যদিও বাংলাদেশে লোকসভা বা বিধানসভার মতো পৃথক ব্যবস্থা নেই, তবে সংসদ (জাতীয় সংসদ) এবং স্থানীয় পরিষদ (উপজেলা পরিষদ) কিছুটা এ ধরনের কাজ পরিচালনা করে। বাংলাদেশে জাতীয় সংসদ কেন্দ্রীয় আইন প্রণয়ন করে, যেখানে স্থানীয় পরিষদ স্থানীয় সমস্যাগুলোর সমাধান করে।

    See less
      • 0
    • Share
      Share
      • Share on Facebook
      • Share on Twitter
      • Share on LinkedIn
      • Share on WhatsApp
      • Report
  7. Asked: January 23, 2025In: কি, রাজনীতি, স্বাস্থ্য

    সুদ ও মুনাফার পার্থক্য কি ?

    anonymous
    anonymous Enlightened
    Added an answer on January 28, 2025 at 2:12 am

    আমরা প্রায়ই সুদ ও মুনাফা শব্দ দুটি একই অর্থে ব্যবহার করি। কিন্তু আসলে এই দুটির মধ্যে অনেক পার্থক্য আছে। বিশেষ করে ইসলামি অর্থনীতির দৃষ্টিকোণ থেকে এই দুটি শব্দের অর্থ সম্পূর্ণ ভিন্ন। সুদ কী? সুদ হলো কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান থেকে ধার নেওয়া টাকার উপর নির্দিষ্ট সময়ের জন্য দেওয়া অতিরিক্ত টাকা। অর্থRead more

    আমরা প্রায়ই সুদ ও মুনাফা শব্দ দুটি একই অর্থে ব্যবহার করি। কিন্তু আসলে এই দুটির মধ্যে অনেক পার্থক্য আছে। বিশেষ করে ইসলামি অর্থনীতির দৃষ্টিকোণ থেকে এই দুটি শব্দের অর্থ সম্পূর্ণ ভিন্ন।

    সুদ কী?

    সুদ হলো কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান থেকে ধার নেওয়া টাকার উপর নির্দিষ্ট সময়ের জন্য দেওয়া অতিরিক্ত টাকা। অর্থাৎ, যত টাকা ধার নেওয়া হয়েছে, তার উপর নির্দিষ্ট হারে আরো কিছু টাকা দেওয়া হয়। ইসলামে সুদ গ্রহণ করা ও দেওয়া হারাম।

    মুনাফা কী?

    মুনাফা হলো কোনো ব্যবসায়িক কার্যকলাপ থেকে অর্জিত লাভ। যখন কোনো ব্যবসায়ী কোনো পণ্য কিনে সেটাকে বিক্রয় করে, তখন বিক্রয়মূল্য থেকে ক্রয়মূল্য বাদ দিয়ে যা পাওয়া যায় তাকে মুনাফা বলে। মুনাফা হালাল এবং একটি ব্যবসায়ের স্বাভাবিক ফলাফল।

    সুদ ও মুনাফার মধ্যে পার্থক্য

    বিষয়সুদ (Interest)মুনাফা (Profit)
    সংজ্ঞাঋণ দেওয়ার বিনিময়ে ধারদাতা যে অতিরিক্ত অর্থ গ্রহণ করে।
    ব্যবসায় বা বিনিয়োগে আয় থেকে খরচ বাদ দিয়ে অবশিষ্ট অর্থ।
    উৎপত্তিঋণ বা ধার দেওয়া থেকে।ব্যবসা বা বিনিয়োগ থেকে।
    ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গিইসলামে সুদ হারাম।ইসলামে বৈধ, যদি তা ন্যায্যভাবে অর্জিত হয়।
    উদ্দেশ্যঋণ থেকে আয় করা।ব্যবসায় বা বিনিয়োগে লাভ অর্জন।
    নির্ধারণ পদ্ধতিএকটি নির্দিষ্ট হার (যেমন ১০%) ধার্য করা হয়।আয় ও খরচের পার্থক্যের উপর নির্ভর করে।
    ঝুঁকিঝুঁকিহীন, কারণ ধারদাতা তার অর্থ ও সুদ পাবে।
    ঝুঁকিপূর্ণ, কারণ ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হলে মুনাফা নাও হতে পারে।
    উদাহরণব্যাংকে টাকা জমা রাখলে ব্যাংক সুদ দেয়।দোকানে পণ্য বিক্রি করে মুনাফা হয়।
    ব্যবসার সাথে সম্পর্কব্যবসার সাথে সরাসরি সম্পর্ক নেই।ব্যবসার সফলতার সাথে সরাসরি সম্পর্কিত।
    নৈতিকতানৈতিকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে।নৈতিক ও বৈধ উপায়ে অর্জিত হয়।
    বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটব্যাংক ও এনজিওর মাধ্যমে ঋণ প্রদান ও সুদ গ্রহণ প্রচলিত।
    ছোট ও বড় ব্যবসার মাধ্যমে মুনাফা অর্জন করা হয়।
    প্রভাবঋণগ্রহীতার আর্থিক চাপ বাড়ায়।ব্যবসায়ের উন্নতি ও অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ঘটায়।

    উদাহরণ দিয়ে সহজ ব্যাখ্যা

     

    সুদ (Interest):
    সুদ হল ঋণ দেওয়ার বিনিময়ে ধারদাতা যে অতিরিক্ত অর্থ গ্রহণ করে। এটি নির্ধারিত হারে ধার করা টাকার উপর নির্ধারিত সময়ে ধারদাতাকে পরিশোধ করতে হয়। উদাহরণ: ব্যাংক থেকে ১০,০০০ টাকা ঋণ নিলে, এক বছর পরে ১০% সুদ হিসেবে ১১,০০০ টাকা ফেরত দিতে হয়।

    মুনাফা (Profit):
    মুনাফা হল ব্যবসায় বা বিনিয়োগে আয় থেকে খরচ বাদ দিয়ে যে অর্থ অবশিষ্ট থাকে। এটি ব্যবসার সফলতার একটি মাপকাঠি। উদাহরণ: একজন ব্যবসায়ী ৫,০০০ টাকায় একটি পণ্য কিনে ৬,০০০ টাকায় বিক্রি করলে ১,০০০ টাকা মুনাফা হয়।

    বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে

    বাংলাদেশে সুদের মাধ্যমে ঋণ দেওয়া-নেওয়া অনেক প্রচলিত, বিশেষত ব্যাংক ও এনজিওর ক্ষেত্রে। তবে, ইসলামী ব্যাংকিং ব্যবস্থায় সুদের পরিবর্তে লাভের ভিত্তিতে লেনদেন করা হয়। অন্যদিকে, ব্যবসা ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা মুনাফার মাধ্যমে তাদের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি ঘটান।

    See less
      • 0
    • Share
      Share
      • Share on Facebook
      • Share on Twitter
      • Share on LinkedIn
      • Share on WhatsApp
      • Report
  8. Asked: January 23, 2025In: কি, ধর্ম

    হজ ও ওমরার মধ্যে পার্থক্য কি ?

    anonymous
    anonymous Enlightened
    Added an answer on January 28, 2025 at 2:08 am

    মুসলমানদের জন্য হজ ও ওমরাহ দুটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। অনেকেই এই দুটি ইবাদতকে একই মনে করলেও এদের মধ্যে অনেক পার্থক্য আছে। আসুন জেনে নিই এই দুটি ইবাদতের মধ্যে কী কী পার্থক্য। হজ কী? হজ হলো ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে একটি। প্রত্যেক মুসলমানের জন্য জীবনে একবার হজ করা ফরজ। হজ হলো মক্কায় একটি নির্দিRead more

    মুসলমানদের জন্য হজ ও ওমরাহ দুটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। অনেকেই এই দুটি ইবাদতকে একই মনে করলেও এদের মধ্যে অনেক পার্থক্য আছে। আসুন জেনে নিই এই দুটি ইবাদতের মধ্যে কী কী পার্থক্য।

    হজ কী?

    হজ হলো ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে একটি। প্রত্যেক মুসলমানের জন্য জীবনে একবার হজ করা ফরজ। হজ হলো মক্কায় একটি নির্দিষ্ট সময়ে পালিত একটি ইবাদত। হজের মধ্যে কাবা শরিফে তাওয়াফ করা, আরাফাতের ময়দানে দাঁড়ানো, মুজদালিফায় রাত কাটানো এবং মিনায় কংকর নিক্ষেপ করা অন্যতম।

    ওমরাহ কী?

    ওমরাহ হলো হজের চেয়ে ছোট একটি ইবাদত। ওমরাহকে “ছোট হজ”ও বলা হয়। ওমরাহ যেকোনো সময় করা যায়। ওমরার মধ্যে কাবা শরিফে তাওয়াফ করা এবং সাফা ও মারওয়া পাহাড়ের মধ্যে সাই করা অন্যতম।

    হজ ও ওমরার মধ্যে পার্থক্য

    বিষয়হজওমরা
    সংজ্ঞাইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের একটি এবং ফরজ ইবাদত।একটি নফল ইবাদত।
    পালনের সময়শুধুমাত্র জিলহজ মাসের ৮ থেকে ১২ তারিখে পালন করা যায়।বছরের যে কোনো সময় পালন করা যায়।
    ফরজ বা নফলপ্রতিটি সামর্থ্যবান মুসলমানের জন্য জীবনে একবার ফরজ।
    নফল, তবে আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
    ইবাদতের স্তরফরজ ইবাদতের সর্বোচ্চ স্তর।নফল ইবাদতের অন্তর্ভুক্ত।
    আরাফাতের দিনআরাফাতের ময়দানে অবস্থান করা হজের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
    ওমরার জন্য আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করার প্রয়োজন নেই।
    সময়কাল৫ দিন (জিলহজের ৮ থেকে ১২ তারিখ পর্যন্ত)।তুলনামূলকভাবে কম সময় লাগে।
    কাবা তাওয়াফকাবার তাওয়াফ হজের একটি অংশ।কাবার তাওয়াফ ওমরার প্রধান অংশ।
    সাঈ (সাফা-মারওয়া)হজের অংশ হিসেবে সাঈ করা হয়।ওমরার অংশ হিসেবে সাঈ করা হয়।
    জামারাতে পাথর নিক্ষেপহজের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।ওমরায় এটি নেই।
    বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটবাংলাদেশে হজ পালন ফরজ হিসেবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।ওমরা পালনে মানুষের আগ্রহ ক্রমশ বাড়ছে।
    খরচহজ পালনে তুলনামূলক বেশি খরচ হয়।ওমরা পালনে তুলনামূলক কম খরচ হয়।

     

    উদাহরণ দিয়ে সহজ ব্যাখ্যা

    • হজ: একজন মুসলমান জিলহজ মাসে হজ পালনের জন্য মক্কায় যান এবং পাঁচ দিন ধরে নির্দিষ্ট ইবাদত পালন করেন।
    • ওমরা: একজন মুসলমান রমজান মাসে মক্কায় যান এবং কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ওমরার ইবাদত সম্পন্ন করেন।

    বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে

    বাংলাদেশের মানুষ হজ ও ওমরাকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখে। প্রতিবছর হাজার হাজার মুসলমান হজ পালন করেন, যা তাদের জন্য জীবনের একটি বড় লক্ষ্য। পাশাপাশি, ওমরা পালনেও আগ্রহ বেড়েছে, বিশেষত রমজান মাসে।

    See less
      • 0
    • Share
      Share
      • Share on Facebook
      • Share on Twitter
      • Share on LinkedIn
      • Share on WhatsApp
      • Report
  9. Asked: January 23, 2025In: কি, শিক্ষা, সংস্কৃতি

    ইতিবাচক ও নেতিবাচক অর্থনীতির পার্থক্য কি ?

    anonymous
    anonymous Enlightened
    Added an answer on January 28, 2025 at 2:04 am

    আমরা প্রায়ই "অর্থনীতি" শব্দটি শুনি। কিন্তু অর্থনীতি বলতে কী বোঝায়? আসলে অর্থনীতি শব্দটির দুটি প্রধান শাখা আছে - ইতিবাচক অর্থনীতি এবং নেতিবাচক অর্থনীতি। আসুন জেনে নিই এই দুটির মধ্যে কী পার্থক্য। ইতিবাচক অর্থনীতি কী? ইতিবাচক অর্থনীতি হলো অর্থনীতির সেই শাখা যেখানে আমরা অর্থনৈতিক ঘটনাগুলোকে যেমন আছে তRead more

    আমরা প্রায়ই “অর্থনীতি” শব্দটি শুনি। কিন্তু অর্থনীতি বলতে কী বোঝায়? আসলে অর্থনীতি শব্দটির দুটি প্রধান শাখা আছে – ইতিবাচক অর্থনীতি এবং নেতিবাচক অর্থনীতি। আসুন জেনে নিই এই দুটির মধ্যে কী পার্থক্য।

    ইতিবাচক অর্থনীতি কী?

    ইতিবাচক অর্থনীতি হলো অর্থনীতির সেই শাখা যেখানে আমরা অর্থনৈতিক ঘটনাগুলোকে যেমন আছে তেমনভাবে বর্ণনা করি এবং বিশ্লেষণ করি। এখানে কোনো মূল্যবোধ বা ব্যক্তিগত মতামত থাকে না। ইতিবাচক অর্থনীতি শুধুমাত্র তথ্য ও পরিসংখ্যা দিয়ে কাজ করে।

    উদাহরণ: “বাংলাদেশে বেকারত্বের হার ৫%।” এই একটি ইতিবাচক অর্থনৈতিক বিবৃতি। এখানে কোনো মতামত নেই, শুধুমাত্র একটি তথ্য দেওয়া হয়েছে।

    নেতিবাচক অর্থনীতি কী?

    নেতিবাচক অর্থনীতি হলো অর্থনীতির সেই শাখা যেখানে আমরা অর্থনীতির বিভিন্ন বিষয়ে মূল্যবোধ ও ব্যক্তিগত মতামত প্রকাশ করি। এখানে আমরা বলতে পারি কোন অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ভালো নাকি খারাপ, কোন নীতি ভালো, কোন নীতি খারাপ ইত্যাদি।

    উদাহরণ: “সরকারকে বেকারত্বের হার কমাতে আরো পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।” এই একটি নেতিবাচক অর্থনৈতিক বিবৃতি। এখানে ব্যক্তিগত মতামত প্রকাশ করা হয়েছে।

    ইতিবাচক ও নেতিবাচক অর্থনীতির মধ্যে পার্থক্য

    বিষয়ইতিবাচক অর্থনীতিনেতিবাচক অর্থনীতি
    সংজ্ঞাবাস্তব তথ্য ও ঘটনার উপর ভিত্তি করে অর্থনৈতিক বিশ্লেষণ।
    মতামত ও নীতিগত প্রস্তাবের উপর ভিত্তি করে অর্থনৈতিক বিশ্লেষণ।
    উদ্দেশ্যকী ঘটছে বা কীভাবে কাজ করছে তা ব্যাখ্যা করা।কী হওয়া উচিত তা প্রস্তাব করা।
    ভিত্তিবাস্তব তথ্য ও পরিসংখ্যান।নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও মতামত।
    উদাহরণ“বাংলাদেশে গত বছর রপ্তানি আয় ৫০ বিলিয়ন ডলার ছিল।”
    “বাংলাদেশে রপ্তানি আয় বাড়াতে প্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগ করা উচিত।”
    বিশ্লেষণের ধরননিরপেক্ষ ও বাস্তবমুখী।ব্যক্তিগত মতামত বা নীতিগত দৃষ্টিভঙ্গি।
    পরীক্ষা করা যায় কি?পরীক্ষার মাধ্যমে সত্যতা যাচাই করা সম্ভব।পরীক্ষার মাধ্যমে সত্যতা যাচাই করা সম্ভব নয়।
    আলোচনার বিষয়ঘটনা ও কার্যক্রমের কারণ এবং প্রভাব।
    কীভাবে উন্নতি করা যায় বা কী পরিবর্তন আনা উচিত।
    ভাষার ধরননিরপেক্ষ ও তথ্যভিত্তিক।নীতিমূলক ও নির্দেশনামূলক।
    ব্যবহারিক উদাহরণ“বাংলাদেশে কর্মসংস্থানের হার ৪% বৃদ্ধি পেয়েছে।”
    “বাংলাদেশে কর্মসংস্থান বাড়াতে নতুন শিল্প কারখানা স্থাপন করা উচিত।”
    বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটদেশের বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থা বোঝাতে ব্যবহার হয়।
    দেশের উন্নয়নের জন্য প্রস্তাব বা নীতি নির্ধারণে ব্যবহার হয়।
    অর্থনৈতিক নীতিবিদ্যমান নীতির কার্যকারিতা বিশ্লেষণ।নতুন নীতি তৈরির প্রস্তাব।

     

    উদাহরণ দিয়ে সহজ ব্যাখ্যা

    • ইতিবাচক অর্থনীতি: “বাংলাদেশে ২০২৪ সালে কৃষি খাতে উৎপাদন ১০% বৃদ্ধি পেয়েছে।”
    • নেতিবাচক অর্থনীতি: “বাংলাদেশে কৃষি উৎপাদন বাড়াতে আরও আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা উচিত।”

    বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে

    বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক অর্থনীতি বর্তমান অবস্থার চিত্র তুলে ধরে, যেমন কর্মসংস্থান, রপ্তানি, বা দারিদ্র্যের হার। অন্যদিকে, নেতিবাচক অর্থনীতি দেশের উন্নয়নের জন্য কী করা উচিত, যেমন শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগ বাড়ানোর প্রস্তাব দেয়।

    মনে রাখতে হবে:

    ইতিবাচক ও নেতিবাচক অর্থনীতি একে অপরের পরিপূরক। ইতিবাচক অর্থনীতির তথ্যের ভিত্তিতে আমরা নেতিবাচক অর্থনীতির মাধ্যমে ভবিষ্যতের জন্য পরামর্শ দিতে পারি।

    See less
      • 0
    • Share
      Share
      • Share on Facebook
      • Share on Twitter
      • Share on LinkedIn
      • Share on WhatsApp
      • Report
  10. Asked: January 23, 2025In: কি, জীববিজ্ঞান, রসায়ন, শিক্ষা

    কমলা ও মাল্টার মধ্যে পার্থক্য কি?

    anonymous
    anonymous Enlightened
    Added an answer on January 28, 2025 at 2:02 am

    আমরা প্রায়ই কমলা এবং মাল্টা শব্দ দুটি একসঙ্গে ব্যবহার করি। কিন্তু, এই দুটি ফল আসলে একই নয়। অনেকেই ভুল করে কমলাকে মাল্টা বলে থাকেন আবার মাল্টাকে কমলা বলে থাকেন। আসুন জেনে নিই এই দুটি ফলের মধ্যে কী কী পার্থক্য। কমলা কী? কমলা বা ম্যান্ডারিন হলো একটি ছোট আকারের, গোলাকার বা ডিম্বাকৃতির ফল। এর খোসা সাধাRead more

    আমরা প্রায়ই কমলা এবং মাল্টা শব্দ দুটি একসঙ্গে ব্যবহার করি। কিন্তু, এই দুটি ফল আসলে একই নয়। অনেকেই ভুল করে কমলাকে মাল্টা বলে থাকেন আবার মাল্টাকে কমলা বলে থাকেন। আসুন জেনে নিই এই দুটি ফলের মধ্যে কী কী পার্থক্য।

    কমলা কী?

    কমলা বা ম্যান্ডারিন হলো একটি ছোট আকারের, গোলাকার বা ডিম্বাকৃতির ফল। এর খোসা সাধারণত চিকন এবং সহজে ছাড়িয়ে যায়। কমলার রং কমলা হতে পারে আবার কখনো কখনো হলুদও হতে পারে। এর স্বাদ মিষ্টি এবং সামান্য টক হয়। কমলায় ভিটামিন সি প্রচুর পরিমাণে থাকে।

    মাল্টা কী?

    মাল্টা হলো কমলা এবং জাম্বুরার সংকরায়ণ থেকে উদ্ভূত একটি ফল। এটি কমলার চেয়ে বড় এবং গোলাকার। মাল্টার খোসা মোটা এবং কমলায় তুলনায় সহজে ছাড়িয়ে যায় না। মাল্টার স্বাদ মিষ্টি এবং কমলায় তুলনায় কম টক হয়। মাল্টায়ও ভিটামিন সি থাকে, কিন্তু কমলার তুলনায় কিছুটা কম।

    কমলা ও মাল্টার মধ্যে পার্থক্য

    বিষয়কমলামাল্টা
    সংজ্ঞাকমলা হল মিষ্টি ও হালকা টক স্বাদের সাইট্রাস ফল।মাল্টা হল টক-মিষ্টি স্বাদের সাইট্রাস ফল।
    আকারতুলনামূলকভাবে ছোট।তুলনামূলকভাবে বড়।
    খোসার গঠনখোসা পাতলা ও সহজে ছাড়ানো যায়।খোসা মোটা এবং ছাড়ানো তুলনামূলক কঠিন।
    স্বাদমিষ্টি ও হালকা টক।টক-মিষ্টি, কিছুটা তীব্র।
    রঙউজ্জ্বল কমলা রঙ।হালকা কমলা বা কিছুটা সবুজাভ।
    রসের পরিমাণকম রসালো।বেশি রসালো।
    বীজের সংখ্যাসাধারণত বেশি বীজ থাকে।তুলনামূলকভাবে কম বীজ থাকে।
    পুষ্টিগুণভিটামিন সি ও ফাইবার বেশি।ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং খনিজ বেশি।
    উৎপত্তিএটি প্রাচীনকাল থেকে দক্ষিণ এশিয়ায় জনপ্রিয়।মাল্টার উৎপত্তি মূলত ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে।
    বাংলাদেশে জনপ্রিয়তাশীতকালে খুব সহজলভ্য এবং প্রচলিত।
    মাল্টা তুলনামূলকভাবে কম প্রচলিত, তবে জনপ্রিয়তা বাড়ছে।
    মূল্যতুলনামূলক সস্তা।তুলনামূলক ব্যয়বহুল।

     

    উদাহরণ দিয়ে সহজ ব্যাখ্যা

    • কমলা: শীতের সকালে কমলার খোসা ছাড়িয়ে খেলে এটি শুধু শরীরকে সতেজই করে না, বরং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়।
    • মাল্টা: মাল্টার রস এক গ্লাস পান করলে ক্লান্তি দূর হয় এবং শরীর শক্তি পায়।

    বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে

    বাংলাদেশে কমলা শীতকালে সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায়। এটি স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত হয় এবং এর দাম তুলনামূলক কম। মাল্টা যদিও আমদানিকৃত, তবে এটি এখন স্থানীয়ভাবেও চাষ করা হচ্ছে। মাল্টার পুষ্টিগুণ বেশি থাকায় এটি স্বাস্থ্যসচেতন মানুষের কাছে ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।

    See less
      • 0
    • Share
      Share
      • Share on Facebook
      • Share on Twitter
      • Share on LinkedIn
      • Share on WhatsApp
      • Report
1 … 3 4 5 6 7 8

Sidebar

Ask A Question

Stats

  • Questions 125
  • Answers 122
  • Best Answers 19
  • Users 13
  • Popular
  • Answers
  • PARTHA BHAKTA

    স্বাভাবিক সংখ্যা কাকে বলে ?

    • 1 Answer
  • PARTHA BHAKTA

    অন্তবর্তীকালীন সরকার কাকে বলে ?

    • 1 Answer
  • PARTHA BHAKTA

    ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এর কাজ কি ?

    • 1 Answer
  • PARTHA BHAKTA
    PARTHA BHAKTA added an answer স্বাভাবিক সংখ্যা হল একধরনের গাণিতিক সংখ্যা, যা ১ থেকে শুরু… July 4, 2025 at 5:27 pm
  • PARTHA BHAKTA
    PARTHA BHAKTA added an answer তল হলো কোনো বস্তু বা শরীরের নিচের অংশ। এটি এমন… July 4, 2025 at 5:26 pm
  • anonymous
    anonymous added an answer সংজ্ঞা: বিভব পার্থক্য হলো দুটি বিন্দুর মধ্যে বৈদ্যুতিক সম্ভাবনা বা… March 21, 2025 at 7:46 pm

Top Members

anonymous

anonymous

  • 0 Questions
  • 1k Points
Enlightened
PARTHA BHAKTA

PARTHA BHAKTA

  • 113 Questions
  • 1k Points
Enlightened
harenbhakta0000

harenbhakta0000

  • 10 Questions
  • 88 Points
Teacher

Explore

  • Home
  • Add group
  • Groups page
  • Communities
  • Questions
    • New Questions
    • Trending Questions
    • Must read Questions
    • Hot Questions
  • Polls
  • Tags
  • Badges
  • Users
  • Help

Footer

© 2024 abogoto. All Rights Reserved
স্বাগতম তৈরীকৃত abogoto.com