আমাদের সাথে থাকুন এবং কোশ্চেন এবং জ্ঞান বিনিময় এর মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করুন।
আপনার পাসওয়ার্ডটি ভুলে গেলে এইখান থেকে রিসেট করে নিন । যে কোন সমস্যার জন্য আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন ।
Please briefly explain why you feel this question should be reported.
Please briefly explain why you feel this answer should be reported.
Please briefly explain why you feel this user should be reported.
ইন্ডাকশন ও ইনফ্রারেড চুলার পার্থক্য কী ?
আপনি কি রান্নাঘরে নতুন চুলা কিনতে চাচ্ছেন? ইন্ডাকশন আর ইনফ্রারেড চুলা – এই দুইয়ের মধ্যে কোনটি বেছে নেবেন, তা নিয়ে হয়তো আপনার মনে অনেক প্রশ্ন জাগছে। চিন্তা করবেন না, আমরা আজকে এই দুই ধরনের চুলার মধ্যে পার্থক্যগুলো খুব সহজে বুঝিয়ে দেব। যাতে আপনি নিজেই সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। ইন্ডাকশন চুলা কী? কল্পনRead more
আপনি কি রান্নাঘরে নতুন চুলা কিনতে চাচ্ছেন? ইন্ডাকশন আর ইনফ্রারেড চুলা – এই দুইয়ের মধ্যে কোনটি বেছে নেবেন, তা নিয়ে হয়তো আপনার মনে অনেক প্রশ্ন জাগছে। চিন্তা করবেন না, আমরা আজকে এই দুই ধরনের চুলার মধ্যে পার্থক্যগুলো খুব সহজে বুঝিয়ে দেব। যাতে আপনি নিজেই সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।
ইন্ডাকশন চুলা কী?
কল্পনা করুন, আপনি একটি চুম্বককে একটি লোহার পাত্রের কাছে আনছেন। লোহার পাত্রটি চুম্বকের দিকে আকৃষ্ট হবে, তাই না? ইন্ডাকশন চুলাও অনেকটা একইভাবে কাজ করে। এখানে চুম্বকের পরিবর্তে বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হয়। বিদ্যুৎ চুলাটির নিচে একটি চৌম্বক ক্ষেত্র তৈরি করে। এই চৌম্বক ক্ষেত্রটি যখন লোহা বা স্টেইনলেস স্টিলের পাত্রের নিচে আসে, তখন পাত্রটি নিজেই গরম হয়ে ওঠে। আর এই গরম পাত্রেই আমরা খাবার রান্না করি।
ইনফ্রারেড চুলা কী?
ইনফ্রারেড চুলা একটু আলাদা। এটি সরাসরি তাপ তৈরি করে। চুলার নিচের একটি বিশেষ উপাদানকে গরম করা হয়। এই উপাদানটি থেকে তাপ তরঙ্গ বের হয়, যা সরাসরি পাত্রকে গরম করে। এটি একটু সূর্যের মতো কাজ করে। সূর্য থেকে আসা তাপ আমাদেরকে গরম করে, ঠিক তেমনি ইনফ্রারেড চুলা থেকে আসা তাপ পাত্রকে গরম করে।
ইন্ডাকশন ও ইনফ্রারেড চুলার মধ্যে পার্থক্য:
উদাহরণ:
উপসংহার:
ইন্ডাকশন ও ইনফ্রারেড চুলা দুইটিই ভালো। কোনটি আপনার জন্য উপযুক্ত, তা আপনার নিজের চাহিদা ও বাজেটের উপর নির্ভর করে।
See lessসাধু ও চলিত ভাষার পার্থক্য কি?
আপনারা কি কখনো লক্ষ করেছো, বাড়ির বড়রা কথা বলার সময় অনেক সময় এমন কিছু শব্দ ব্যবহার করেন যা তোমরা বুঝতে পারো না? আবার, তোমরা তোমাদের বন্ধুদের সাথে কথা বলার সময় এমন কিছু শব্দ ব্যবহার করো যা তোমাদের বাবা-মা হয়তো বুঝতে পারেন না? এটা কেন হয়? কারণ আমাদের ভাষাটা একটু আলাদা আলাদা হয়ে থাকে। আসলে, আমাদRead more
আপনারা কি কখনো লক্ষ করেছো, বাড়ির বড়রা কথা বলার সময় অনেক সময় এমন কিছু শব্দ ব্যবহার করেন যা তোমরা বুঝতে পারো না? আবার, তোমরা তোমাদের বন্ধুদের সাথে কথা বলার সময় এমন কিছু শব্দ ব্যবহার করো যা তোমাদের বাবা-মা হয়তো বুঝতে পারেন না? এটা কেন হয়? কারণ আমাদের ভাষাটা একটু আলাদা আলাদা হয়ে থাকে। আসলে, আমাদের বাংলা ভাষার দুটি প্রধান রূপ আছে: সাধু ভাষা আর চলিত ভাষা।
সাধু ভাষা:
সাধু ভাষা হলো বাংলা ভাষার একটি প্রাচীন ও প্রথাগত রূপ, যা মূলত সাহিত্যিক, ধর্মীয় গ্রন্থ ও গদ্যে ব্যবহৃত হয়। এটি উচ্চমানের ও শুদ্ধ ভাষারূপ হিসেবে বিবেচিত হয় এবং এতে প্রাচীন ও ক্লাসিকাল শব্দের ব্যবহার বেশি দেখা যায়। সাধু ভাষা মূলত গদ্যের ভাষা হিসেবে ব্যবহৃত হত এবং এখনো কিছু সাহিত্যিক রচনায় বা আনুষ্ঠানিক লেখায় দেখা যায়।
চলিত ভাষা:
চলিত ভাষা হলো বাংলা ভাষার সেই রূপ, যা সাধারণ কথাবার্তায়, সংবাদপত্রে, দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত হয়। এটি সাধু ভাষার তুলনায় সহজ, স্বাভাবিক, এবং প্রায়োগিক। চলিত ভাষা বাংলা সাহিত্যে ও অন্যান্য ক্ষেত্রে ক্রমশ জনপ্রিয় হয়েছে এবং এখন বাংলা ভাষার প্রধান রূপ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
সাধু ভাষা ও চলিত ভাষার মধ্যে পার্থক্য:
কেন এই পার্থক্য?
ভাষাটা একটা জীবন্ত জিনিস। এটা সবসময় পরিবর্তন হতে থাকে। নতুন নতুন শব্দ যুক্ত হয়, পুরনো শব্দ ব্যবহার বন্ধ হয়ে যায়। এই কারণেই সাধু ভাষা আর চলিত ভাষার মধ্যে এত পার্থক্য।
কেন সাধু ভাষা শিখতে হবে?
সাধু ভাষা শিখলে আপনি আমাদের দেশের সমৃদ্ধ সাহিত্যকে আরো ভালোভাবে উপভোগ করতে পারবে। এছাড়া, সাধু ভাষা শিখলে তোমার ভাষা জ্ঞান আরো বৃদ্ধি পাবে।
কেন চলিত ভাষা শিখতে হবে?
চলিত ভাষা শিখলে আপনি অন্যদের সাথে সহজে যোগাযোগ করতে পারবে। এছাড়া, চলিত ভাষা শিখলে তুমি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, টেলিভিশন ইত্যাদি সহজে বুঝতে পারবে।
আশা করি এটি পড়ার মাধ্যমে আপনার ভাষাগত যে পার্থক্য জানার ছিল সে বিষয়টি সম্পূর্ণ বুঝতে পেরেছেন এবং শিখতে পেরেছেন যদি নতুন কিছু জানার থাকে তাহলে অবশ্যই প্রশ্নটি আমাদেরকে করুন ।
See lessভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার পার্থক্য কি ?
ভাইরাস কী? ভাইরাস হলো খুবই ছোট এক ধরনের জিনিস। এত ছোট যে একে আমরা খালি চোখে দেখতে পাই না। ভাইরাসের নিজের কোন জীবন নেই। একে বলা হয়, ‘অজীব জীব’। অর্থাৎ, এটি একা একা বাঁচতে পারে না। অর্থাৎ এরা নিজেরা নিজেদের সাথে বংশবিস্তার করতে পারেনা । ভাইরাসকে বাঁচার জন্য অন্য কোন জীবের দেহের প্রয়োজন হয়। যেমন, আমRead more
ভাইরাস কী?
ভাইরাস হলো খুবই ছোট এক ধরনের জিনিস। এত ছোট যে একে আমরা খালি চোখে দেখতে পাই না। ভাইরাসের নিজের কোন জীবন নেই। একে বলা হয়, ‘অজীব জীব’। অর্থাৎ, এটি একা একা বাঁচতে পারে না। অর্থাৎ এরা নিজেরা নিজেদের সাথে বংশবিস্তার করতে পারেনা । ভাইরাসকে বাঁচার জন্য অন্য কোন জীবের দেহের প্রয়োজন হয়। যেমন, আমাদের দেহ। ভাইরাস আমাদের দেহের কোষের ভেতরে ঢুকে গিয়ে সেই কোষকে ব্যবহার করে নিজেদের অনেকগুলি করে তোলে। এভাবেই আমরা ভাইরাসজনিত রোগে আক্রান্ত হই। ভাইরাস সাধারণত প্রোটিনের খোলস এবং ভিতরে জেনেটিক উপাদান (ডিএনএ বা আরএনএ) নিয়ে গঠিত।
ব্যাকটেরিয়া কী?
ব্যাকটেরিয়া হলো এককোষী জীব। অর্থাৎ, এর দেহে মাত্র একটি কোষ থাকে। ব্যাকটেরিয়া বিভিন্ন আকারের হয়। কিছু গোলাকার, কিছু দণ্ডাকার আবার কিছু প্যাঁচানো। ব্যাকটেরিয়া মাটিতে, পানিতে, আমাদের দেহে এমনকি খাবারেও থাকে। সব ব্যাকটেরিয়া খারাপ নয়। অনেক ব্যাকটেরিয়া আমাদের জন্য উপকারীও। যেমন, দই তৈরিতে ব্যাকটেরিয়া ব্যবহৃত হয়।ব্যাকটেরিয়ারা সাধারণত ডিএনএ নিয়ে গঠিত এবং তাদের কোষে প্রোটিন, রাইবোজোম এবং অন্যান্য জৈবিক উপাদান থাকে।
ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার মধ্যে পার্থক্য
More: ধাতু ও অধাতুর মধ্যে পার্থক্য ?
কিছু মজার তথ্য
এই তথ্য শুধুমাত্র সাধারণ জ্ঞানের জন্য। কোনো রোগের চিকিৎসার জন্য ডাক্তারের পরামর্শ অবশ্যই নিন। আশা করি আপনি এখন ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার পার্থক্যগুলো খুব সহজে বুঝতে পেরেছেন ধন্যবাদ।
See lessউদ্ভিদ কোষ ও প্রাণী কোষের মধ্যে পার্থক্য কি?
উদ্ভিদ এবং প্রাণী কোষ এর ব্যাপারে আপনার জানতে হলে সবার প্রথমে বুঝতে হবে কোষ কাকে বলে আসুন এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা জেনে নেই উদ্ভিদ এবং প্রাণী কোষের পার্থক্য বিস্তারিতভাবে । কোষ কী? কোষ হলো সকল জীবের মৌলিক গঠন একক। মনে করুন, একটি ইট দিয়ে একটি বাড়ি তৈরি করা হয়, ঠিক তেমনি কোষ দিয়ে একটি জীবদেহ তৈরি হRead more
উদ্ভিদ এবং প্রাণী কোষ এর ব্যাপারে আপনার জানতে হলে সবার প্রথমে বুঝতে হবে কোষ কাকে বলে আসুন এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা জেনে নেই উদ্ভিদ এবং প্রাণী কোষের পার্থক্য বিস্তারিতভাবে ।
কোষ কী?
কোষ হলো সকল জীবের মৌলিক গঠন একক। মনে করুন, একটি ইট দিয়ে একটি বাড়ি তৈরি করা হয়, ঠিক তেমনি কোষ দিয়ে একটি জীবদেহ তৈরি হয়। কোষ এতই ছোট যে একে খালি চোখে দেখা যায় না। একটি মাইক্রোস্কোপের সাহায্যে আমরা কোষকে দেখতে পাই।
উদ্ভিদ কোষ কী?
উদ্ভিদ কোষ হলো উদ্ভিদের দেহ গঠনকারী মৌলিক একক। উদাহরণস্বরূপ, একটি গাছের পাতা, কাণ্ড বা শিকড়, সবকিছুই অসংখ্য উদ্ভিদ কোষ মিলে গঠিত।
প্রাণী কোষ কী?
প্রাণী কোষ হলো প্রাণীর দেহ গঠনকারী মৌলিক একক। আমরা, তোমার পোষা কুকুর, বা পাখি – সবাই মিলিয়ে প্রাণী। আর আমাদের দেহের প্রতিটি অংশ, যেমন হাত, পা, চোখ, কান ইত্যাদি, সবকিছুই অসংখ্য প্রাণী কোষ মিলে গঠিত।
উদ্ভিদ এবং প্রাণিসম্পর্কে জানতে এই প্রশ্নের উত্তরটি পড়ে আসতে পারেন : উদ্ভিদ কোষ ও প্রাণী কোষের মধ্যে পার্থক্য কি?
উদ্ভিদ কোষ ও প্রাণী কোষের মধ্যে পার্থক্য
উদ্ভিদ কোষ ও প্রাণী কোষের মধ্যে নিম্নলিখিত পার্থক্যগুলো রয়েছে:
কেন এই পার্থক্য গুরুত্বপূর্ণ?
উদ্ভিদ ও প্রাণী কোষের এই পার্থক্যের কারণে উদ্ভিদ ও প্রাণীরা একে অপরের থেকে আলাদা। উদ্ভিদ স্থির জীবনযাপন করে এবং স্বয়ং খাদ্য তৈরি করে, আর প্রাণীরা সাধারণত স্থানান্তরিত হয় এবং অন্য জীবকে খেয়ে বা তাদের দেহ থেকে তৈরি পদার্থ খেয়ে খাদ্য গ্রহণ করে।
উপসংহার:
আশা করি, এই ব্যাখ্যাটি আপনার প্রাণী কোষ এবং উদ্ভিদ কোষের পার্থক্য গুলো স্পষ্ট করেছেমনে রাখবে, সব জীবের মৌলিক গঠন একক হলো কোষ। আর উদ্ভিদ ও প্রাণী কোষের মধ্যে কিছু মৌলিক পার্থক্য আছে যার কারণে তারা একে অপরের থেকে আলাদা।
মজার তথ্য:
- একটি শুধুমাত্র এক কোষ দিয়ে গঠিত জীবকে এককোষী জীব বলে।
- একটির চেয়ে বেশি কোষ দিয়ে গঠিত জীবকে বহুকোষী জীব বলে।
- মানুষ একটি বহুকোষী জীব।
See lessউদ্ভিদ ও প্রাণীর মধ্যে পার্থক্য ব্যাখ্যা কর ?
উদ্ভিদ এবং প্রাণী প্রকৃতির দুটি প্রধান জীবজগৎ ও পৃথিবীর মূল ভিত্তি, উদ্ভিদ ও প্রাণীর জীবনচক্র, গঠন ও কার্যাবলীর মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। নিচে উদ্ভিদ ও প্রাণীর সংজ্ঞা ও তাদের পার্থক্যগুলো সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা হলো। উদ্ভিদের সংজ্ঞা উদ্ভিদ হলো এমন এক প্রকার স্বয়ংসম্পূর্ণ জীব। এরা নিজেরাই খাদ্য তৈRead more
উদ্ভিদ এবং প্রাণী প্রকৃতির দুটি প্রধান জীবজগৎ ও পৃথিবীর মূল ভিত্তি, উদ্ভিদ ও প্রাণীর জীবনচক্র, গঠন ও কার্যাবলীর মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। নিচে উদ্ভিদ ও প্রাণীর সংজ্ঞা ও তাদের পার্থক্যগুলো সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা হলো।
উদ্ভিদের সংজ্ঞা
উদ্ভিদ হলো এমন এক প্রকার স্বয়ংসম্পূর্ণ জীব। এরা নিজেরাই খাদ্য তৈরি করে। সূর্যের আলো, পানি এবং মাটি থেকে নেওয়া খনিজ লবণের সাহায্যে তারা খাদ্য তৈরি করে। এই প্রক্রিয়াকে বলে ‘প্রক্রিয়াকরণ’। উদ্ভিদ গাছ, ফুল, ঘাস ইত্যাদি সবই উদ্ভিদের উদাহরণ।
প্রাণীর সংজ্ঞা
প্রাণী হলো সচল জীব। এরা নিজেরা খাদ্য তৈরি করতে পারে না। তাই অন্য জীব বা উদ্ভিদকে খেয়ে বা তাদের দেহ থেকে পুষ্টি উপাদান গ্রহণ করে বেঁচে থাকে। মানুষ, পশু, পাখি, মাছ ইত্যাদি সবই প্রাণীর উদাহরণ।
উদ্ভিদ ও প্রাণীর মধ্যে পার্থক্য টেবিল
উপসংহার:
উদ্ভিদ ও প্রাণী দুইই জীবজগতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এরা একে অপরের উপর নির্ভরশীল। উদ্ভিদ আমাদেরকে খাদ্য, অক্সিজেন এবং আশ্রয় দেয়। আর প্রাণীরা উদ্ভিদের বংশবিস্তারে সাহায্য করে। তাই উদ্ভিদ ও প্রাণী উভয়কেই আমাদের রক্ষা করা জরুরি।
See lessনদ ও নদীর পার্থক্য কি ?
নদ নদ বলতে বোঝায় এমন একটি প্রবাহিত জলধারা যা সাধারণত সরু এবং অপেক্ষাকৃত ছোট। এটি একটি নির্দিষ্ট উৎস থেকে উৎপন্ন হয়ে স্বল্প দূরত্ব অতিক্রম করে। বাংলাদেশের গ্রামীণ অঞ্চলে অনেক ছোট নদ রয়েছে, যা বর্ষাকালে পানিতে পূর্ণ থাকে এবং শুষ্ক মৌসুমে শুকিয়ে যায়। নদী নদী বলতে বোঝায় বৃহৎ ও দীর্ঘস্থায়ী জলপ্রবাRead more
নদ
নদ বলতে বোঝায় এমন একটি প্রবাহিত জলধারা যা সাধারণত সরু এবং অপেক্ষাকৃত ছোট। এটি একটি নির্দিষ্ট উৎস থেকে উৎপন্ন হয়ে স্বল্প দূরত্ব অতিক্রম করে। বাংলাদেশের গ্রামীণ অঞ্চলে অনেক ছোট নদ রয়েছে, যা বর্ষাকালে পানিতে পূর্ণ থাকে এবং শুষ্ক মৌসুমে শুকিয়ে যায়।
নদী
নদী বলতে বোঝায় বৃহৎ ও দীর্ঘস্থায়ী জলপ্রবাহ যা একটি নির্দিষ্ট উৎস থেকে উৎপন্ন হয়ে দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে সাগর বা মহাসাগরে পতিত হয়। এটি বৃহৎ পরিমাণে পানি বহন করে এবং সারাবছর প্রবাহিত হয়। উদাহরণস্বরূপ, পদ্মা নদী।
উদাহরণ
উদাহরণ:
এই পার্থক্যগুলো বুঝতে পারলে, আপনি সহজেই নদ এবং নদীর মধ্যে পার্থক্য করতে পারবেন এবং তাদের প্রভাব সম্পর্কে আরও পরিষ্কার ধারণা পাবেন।
See less370 ধারা কি ?
ভারতের সংবিধানের ৩৭০ ধারা জম্মু ও কাশ্মীরকে বিশেষ স্বায়ত্তশাসন দিয়েছিল। এই ধারার অধীনে, জম্মু ও কাশ্মীরের নিজস্ব সংবিধান, পতাকা এবং আইন প্রণয়নের ক্ষমতা ছিল। ভারতের অন্যান্য রাজ্যের ক্ষেত্রে যেসব কেন্দ্রীয় আইন প্রযোজ্য ছিল, সেগুলো সবই জম্মু ও কাশ্মীরের ক্ষেত্রে স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রযোজ্য ছিল না। কRead more
ভারতের সংবিধানের ৩৭০ ধারা জম্মু ও কাশ্মীরকে বিশেষ স্বায়ত্তশাসন দিয়েছিল। এই ধারার অধীনে, জম্মু ও কাশ্মীরের নিজস্ব সংবিধান, পতাকা এবং আইন প্রণয়নের ক্ষমতা ছিল। ভারতের অন্যান্য রাজ্যের ক্ষেত্রে যেসব কেন্দ্রীয় আইন প্রযোজ্য ছিল, সেগুলো সবই জম্মু ও কাশ্মীরের ক্ষেত্রে স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রযোজ্য ছিল না।
কেন এই ধারাটি তৈরি করা হয়েছিল?
ভারতের স্বাধীনতার সময় জম্মু ও কাশ্মীরের রাজা হরি সিং জয়সিংহ ভারতে যোগদান করতে রাজি হয়েছিলেন। তবে তিনি কয়েকটি শর্ত দিয়েছিলেন, যার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল জম্মু ও কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসন। এই শর্ত পূরণ করার জন্যই ৩৭০ ধারা তৈরি করা হয়েছিল।
কেন এই ধারা বাতিল করা হয়েছিল?
দীর্ঘদিন ধরে জম্মু ও কাশ্মীরের রাজনৈতিক পরিস্থিতি অস্থির ছিল। কেন্দ্রীয় সরকারের মতে, এই অস্থিরতার মূল কারণ ছিল ৩৭০ ধারা। তাই ২০১৯ সালে এই ধারা বাতিল করে জম্মু ও কাশ্মীরকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করা হয়।
৩৭০ ধারা বাতিল হওয়ার পর কী হয়েছে?
৩৭০ ধারা বাতিল হওয়ার পর জম্মু ও কাশ্মীরের সাথে ভারতের অন্যান্য রাজ্যের সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার জম্মু ও কাশ্মীরে উন্নয়নমূলক কাজে ব্যাপক হারে বিনিয়োগ করছে।
মনে রাখবেন: ৩৭০ ধারা আর বিদ্যমান নেই। তাই এই ধারা সম্পর্কে কোনো মামলা করা সম্ভব নয়।
See less100 ধারা মামলা কি ?
বাংলাদেশের দণ্ডবিধির ১০০ ধারা আত্মরক্ষার অধিকার সম্পর্কিত একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারা। এই ধারায় বলা হয়েছে যে, কোনো ব্যক্তি যদি নিজের জীবন বা সম্পত্তি রক্ষা করতে গিয়ে আক্রমণকারীকে প্রতিহত করে এবং সেই প্রতিহত করার ফলে আক্রমণকারী মারা যায়, তবে সেই ব্যক্তি কোনো অপরাধের জন্য দায়ী হবে না। সহজ ভাষায় বলতেRead more
রাষ্ট্র ও সরকারের মধ্যে পার্থক্য কি ? এর উদাহরণ সহ ব্যাখ্যা
রাষ্ট্র ও সরকার দুটিই একটি দেশের প্রশাসনিক কাঠামোর গুরুত্বপূর্ণ অংশ, তবে এদের মধ্যে কিছু মৌলিক পার্থক্য রয়েছে। রাষ্ট্র হলে একটি নির্দিষ্ট ভূখণ্ড থাকা লাগবে, অন্যদিকে কোন একটি রাজনৈতিক দল থেকে নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করা হয় যা ওই নির্দিষ্ট ভূখণ্ড বা দেশের ভিতর সরকার ব্যবস্থা প্রRead more
তত্ত্বাবধায়ক সরকার কি ?
তত্ত্বাবধায়ক সরকার হল একটি অস্থায়ী সরকার ব্যবস্থা যা সাধারণত একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য গঠিত হয়। এটি মূলত নির্বাচনের সময় রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও নিরপেক্ষতা বজায় রাখার জন্য গঠন করা হয়। এই সরকার নির্বাচন পরিচালনা করে এবং দেশের সাধারণ প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনা করে। কল্পনা করুন, আপনার বাড়ির মেরRead more
তত্ত্বাবধায়ক সরকার হল একটি অস্থায়ী সরকার ব্যবস্থা যা সাধারণত একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য গঠিত হয়। এটি মূলত নির্বাচনের সময় রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও নিরপেক্ষতা বজায় রাখার জন্য গঠন করা হয়। এই সরকার নির্বাচন পরিচালনা করে এবং দেশের সাধারণ প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনা করে।
কল্পনা করুন, আপনার বাড়ির মেরামতের কাজ চলছে। এই সময় আপনার বাড়িটা কারো তত্ত্বাবধানে থাকবে। সেই ব্যক্তি বা সংস্থা আপনার বাড়ির দায়িত্ব নেবে, যতক্ষণ না মেরামতের কাজ শেষ হয়। ঠিক একইভাবে, একটি দেশের নির্বাচনের সময়, দেশের শাসন ক্ষমতা একটা নিরপেক্ষ দলের হাতে তুলে দেয়া হয়। এই নিরপেক্ষ দলটিকেই বলা হয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার।
কখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হয়?
তত্ত্বাবধায়ক সরকার সাধারণত একটি দেশের জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের আগে গঠিত হয়। নির্বাচনের সময়কাল পর্যন্ত এটি ক্ষমতায় থাকে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মূল লক্ষ্য হল নির্বাচন প্রক্রিয়া অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত করা, যাতে কোনো রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্ব না ঘটে এবং ভোটাররা স্বাধীনভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার কিভাবে গঠন করা হয়?
তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের পদ্ধতি দেশের সংবিধান ও আইন দ্বারা নির্ধারিত হয়। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বা প্রধানমন্ত্রীর পদে একজন নিরপেক্ষ ব্যক্তি নিযুক্ত হন। প্রধান উপদেষ্টা ও অন্যান্য উপদেষ্টারা মিলে একটি কমিটি গঠন করে, যা নির্বাচন পরিচালনার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উদাহরণ
বাংলাদেশে ১৯৯৬ সালে প্রথম তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হয়। তৎকালীন রাজনৈতিক অস্থিরতা ও নির্বাচন নিয়ে অনাস্থার কারণে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রণয়ন করা হয়। এরপর ২০০১ এবং ২০০৬ সালেও তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হয়। প্রতিটি নির্বাচনের আগে এই সরকার নির্বাচনের সুষ্ঠুতা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে ২০১১ সালে বাংলাদেশের সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করা হয়।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের গুরুত্ব
১. নিরপেক্ষ নির্বাচন: তত্ত্বাবধায়ক সরকার নির্বাচন পরিচালনার জন্য নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করে, যা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
২. রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা: রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে অনাস্থা দূর করে একটি স্থিতিশীল ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিত করে।
৩. জনগণের আস্থা: জনগণ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রতি আস্থা রাখে, কারণ এটি কোনো রাজনৈতিক দলের অধীনে নয়, বরং একটি নিরপেক্ষ অবস্থান থেকে কাজ করে।
বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অভিজ্ঞতা প্রমাণ করে যে একটি নিরপেক্ষ ও নির্ভরযোগ্য নির্বাচনী প্রক্রিয়া পরিচালনার জন্য এটি অত্যন্ত কার্যকরী হতে পারে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার একটি সংবেদনশীল ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যা দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী করে।
See less