Sign Up

What is the capital of Egypt? ( Cairo )

Have an account? Sign In Now

Sign In

আমাদের সাথে থাকুন এবং কোশ্চেন এবং জ্ঞান বিনিময় এর মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করুন।

Sign Up Here

What is the capital of Egypt? ( Cairo )

Forgot Password?

Don't have account, Sign Up Here

Forgot Password

আপনার পাসওয়ার্ডটি ভুলে গেলে এইখান থেকে রিসেট করে নিন । যে কোন সমস্যার জন্য আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন ।

Have an account? Sign In Now

You must login to ask a question.

What is the capital of Egypt? ( Cairo )

Forgot Password?

Need An Account, Sign Up Here

You must login to ask a question.

What is the capital of Egypt? ( Cairo )

Forgot Password?

Need An Account, Sign Up Here

Please briefly explain why you feel this question should be reported.

Please briefly explain why you feel this answer should be reported.

Please briefly explain why you feel this user should be reported.

Sign InSign Up

অবগত

অবগত Logo অবগত Logo

অবগত Navigation

  • Home
  • আমাদের সম্পর্ক
  • ব্লগ
  • যোগাযোগ
Search
Ask A Question

Mobile menu

Close
Ask A Question
  • Home
  • আমাদের সম্পর্ক
  • ব্লগ
  • যোগাযোগ

PARTHA BHAKTA

Enlightened
Ask PARTHA BHAKTA
93 Visits
0 Followers
111 Questions
Home/PARTHA BHAKTA/Best Answers
  • About
  • Questions
  • Polls
  • Answers
  • Best Answers
  • Asked Questions
  • Groups
  • Joined Groups
  • Managed Groups
  1. Asked: January 20, 2025In: কিভাবে, পদার্থবিজ্ঞান, বিজ্ঞান

    এসি কিভাবে কাজ করে ?

    PARTHA BHAKTA
    PARTHA BHAKTA Enlightened
    Added an answer on January 20, 2025 at 2:22 pm

    এসি (এয়ার কন্ডিশনার) একটি যন্ত্র যা ঘরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং শীতল রাখে। এটি মূলত তিনটি প্রধান অংশ নিয়ে কাজ করে: কম্প্রেসার, কনডেনসার, এবং ইভাপোরেটর।এটি প্রধানত একটি কুলিং সিস্টেম ব্যবহার করে গরম বাতাস শোষণ করে, ঠান্ডা বাতাস বের করে, এবং অতিরিক্ত আর্দ্রতা দূর করে। এসি কিভাবে কাজ করে: বিস্তRead more

    এসি (এয়ার কন্ডিশনার) একটি যন্ত্র যা ঘরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং শীতল রাখে। এটি মূলত তিনটি প্রধান অংশ নিয়ে কাজ করে: কম্প্রেসার, কনডেনসার, এবং ইভাপোরেটর।এটি প্রধানত একটি কুলিং সিস্টেম ব্যবহার করে গরম বাতাস শোষণ করে, ঠান্ডা বাতাস বের করে, এবং অতিরিক্ত আর্দ্রতা দূর করে।

    এসি কিভাবে কাজ করে: বিস্তারিত ব্যাখ্যা

    ১. বায়ু শোষণ এবং ফিল্টার করা:

    এসি প্রথমে ঘরের গরম বাতাস শোষণ করে। বাতাস শোষণ করার সময় এটি একটি ফিল্টারের মধ্য দিয়ে যায়, যা ধুলা, ময়লা এবং অন্যান্য অশুদ্ধতা পরিষ্কার করে।

    ২. কম্প্রেসর ব্যবহার করে শীতলকরণ প্রক্রিয়া:

    • কম্প্রেসর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা রেফ্রিজারেন্ট (এক ধরনের কুল্যান্ট তরল) সংকুচিত করে।
    • সংকুচিত হওয়ার পর, রেফ্রিজারেন্ট গ্যাসের তাপমাত্রা বাড়ে এবং এটি একটি কনডেন্সারে পাঠানো হয়।

    ৩. কনডেন্সার এবং তাপ অপসারণ:

    কনডেন্সারে গরম রেফ্রিজারেন্ট ঠান্ডা হয় এবং তরলে পরিণত হয়। এই সময়ে তাপ বাহিরে চলে যায়।

    ৪. ইভাপোরেটর কয়েল এবং শীতল বাতাস প্রদান:

    ইভাপোরেটর কয়েলে ঠান্ডা রেফ্রিজারেন্ট প্রবেশ করে এবং এতে ঘরের গরম বাতাস পাস করার সময় ঠান্ডা হয়ে যায়। শীতল বাতাস ঘরের ভেতরে ছড়িয়ে পড়ে।

    ৫. আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণ:

    শীতলকরণ প্রক্রিয়ার সময়, অতিরিক্ত আর্দ্রতা (Humidity) একটি ড্রেন পাইপের মাধ্যমে বের হয়ে যায়।

    উদাহরণ:

    ধরুন, আপনার ঘরের তাপমাত্রা ৩৫°C এবং আপনি এসি চালু করলেন। এসি প্রথমে ঘরের গরম বাতাস টেনে নিয়ে ফিল্টার করবে, এরপর কম্প্রেসর এবং কনডেন্সারের সাহায্যে রেফ্রিজারেন্টকে শীতল করে ঘরে ঠান্ডা বাতাস সরবরাহ করবে। কিছুক্ষণের মধ্যে তাপমাত্রা কমে ২৫°C হয়ে যাবে।

    এসির সাথে সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

    ১. এসির উপকারিতা:

    • গরমে আরাম দেয়।
    • ঘরের আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণ করে।
    • এলার্জি এবং ধুলাবালি থেকে সুরক্ষা দেয়।

    ২. এসির ধরণ:

    • উইন্ডো এসি: ছোট ঘরের জন্য আদর্শ।
    • স্প্লিট এসি: বড় ঘরের জন্য উপযুক্ত।
    • পোর্টেবল এসি: সহজে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় নিয়ে যাওয়া যায়।

    এসির বিভিন্ন অংশ:

    • ইনডোর ইউনিট: এটি ঘরের ভেতরে থাকে এবং শীতল বাতাস ছড়ায়।
    • আউটডোর ইউনিট: এটি বাড়ির বাইরে থাকে এবং গরম বাতাসকে বাইরে ছাড়ে।
    • রেফ্রিজারেন্ট: এটি এসির মূল কার্যকারী উপাদান।
    • কম্প্রেসর: এটি রেফ্রিজারেন্টকে চাপ দেয় এবং গ্যাসে পরিণত করে।
    • কন্ডেন্সার: এটি গ্যাসকে তরলে পরিণত করে।
    • এক্সপ্যানশন ভালভ: এটি তরলকে নিম্ন চাপে নিয়ে আসে।
      See less
        • 0
      • Share
        Share
        • Share on Facebook
        • Share on Twitter
        • Share on LinkedIn
        • Share on WhatsApp
        • Report
    • Asked: January 9, 2025In: জীববিজ্ঞান, বিজ্ঞান, রসায়ন

      ব্যাপন ও নিঃসরণ এর পার্থক্য কি ?

      PARTHA BHAKTA
      PARTHA BHAKTA Enlightened
      Added an answer on January 19, 2025 at 10:20 am

      আসুন, আমরা আজকে দুটি খুবই মজার বিজ্ঞানের প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানি। এই দুটি প্রক্রিয়া হলো ব্যাপন এবং নিঃসরণ। ব্যাপন কী? তোমরা কি কখনো একটা কামরায় পারফিউম স্প্রে করেছ? কিছুক্ষণ পরেই কামরার সব জায়গায় সেই সুগন্ধ ছড়িয়ে পড়ে, তাই না? এটাই হলো ব্যাপনের একটি উদাহরণ। ব্যাপন হলো কোনো পদার্থের কণাগুলোর এRead more

      আসুন, আমরা আজকে দুটি খুবই মজার বিজ্ঞানের প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানি। এই দুটি প্রক্রিয়া হলো ব্যাপন এবং নিঃসরণ।

      ব্যাপন কী?

      তোমরা কি কখনো একটা কামরায় পারফিউম স্প্রে করেছ? কিছুক্ষণ পরেই কামরার সব জায়গায় সেই সুগন্ধ ছড়িয়ে পড়ে, তাই না? এটাই হলো ব্যাপনের একটি উদাহরণ।

      ব্যাপন হলো কোনো পদার্থের কণাগুলোর এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ছড়িয়ে পড়ার প্রক্রিয়া। যেমন, এক গ্লাস পানিতে যদি কিছু শুকনো দুধের গুঁড়ো দাও, তাহলে ধীরে ধীরে গোটা পানি দুধের রঙ ধরে নেবে। এটাও ব্যাপনেরই একটি উদাহরণ।

      নিঃসরণ কী?

      নিঃসরণ একটু আলাদা ধরনের প্রক্রিয়া। নিঃসরণ হলো কোনো ছিদ্র দিয়ে গ্যাসের অণুগুলোর বাইরে বেরিয়ে আসার প্রক্রিয়া। যেমন, একটা বেলুনে বাতাস ভরে রাখলে বেলুনের ছিদ্র দিয়ে ধীরে ধীরে বাতাস বের হয়ে যায়। এটাই হলো নিঃসরণ।

      ব্যাপন ও নিঃসরণের মধ্যে পার্থক্য:

      প্রক্রিয়ার ধরনউচ্চ ঘনত্ব থেকে নিম্ন ঘনত্বে পদার্থের কণা সরানো হয়।কম ঘনত্বের দ্রবণ থেকে বেশি ঘনত্বের দ্রবণে দ্রাবক অণু প্রবেশ করে।
      পর্দার প্রয়োজনীয়তাএখানে কোনো বিশেষ পর্দার প্রয়োজন হয় না।একটি আধা-পারগম্য পর্দার উপস্থিতি আবশ্যক।
      কণার ধরণগ্যাস, তরল বা দ্রবণের দ্রবীভূত পদার্থের কণা স্থানান্তরিত হয়।শুধুমাত্র দ্রাবক অণু (যেমন পানি) স্থানান্তরিত হয়।
      উদাহরণসুবাসিত ফুলের ঘ্রাণ ধীরে ধীরে পুরো ঘরে ছড়িয়ে পড়া।আলুর টুকরো লবণ পানিতে রেখে পানি নিঃসরণ হওয়া।
      শক্তি প্রয়োজনীয়তাএটি একটি স্বতঃস্ফূর্ত প্রক্রিয়া; কোনো শক্তির প্রয়োজন হয় না।এটি স্বতঃস্ফূর্ত, তবে আধা-পারগম্য পর্দা থাকা বাধ্যতামূলক।
      দ্রবণের ঘনত্ব প্রভাবপদার্থ সব ধরনের ঘনত্বে স্থানান্তরিত হতে পারে।কম ঘনত্ব থেকে বেশি ঘনত্বের দিকে দ্রাবক স্থানান্তরিত হয়।
      জৈবিক উদাহরণঅক্সিজেন এবং কার্বন ডাই অক্সাইড ফুসফুস থেকে রক্তে প্রবেশ করে এবং বের হয়।উদ্ভিদের মূল থেকে পানি শোষণ।
      পদার্থের মিশ্রণদুই বা ততোধিক গ্যাস বা তরল মিশ্রিত হতে পারে।একমাত্র দ্রাবক (পানি) আধা-পারগম্য পর্দা দিয়ে স্থানান্তরিত হয়।
      কাজের ধরনএটি সাধারণ স্থানান্তর প্রক্রিয়া।এটি একটি নির্দিষ্ট এবং নির্বাচনী স্থানান্তর প্রক্রিয়া।
      গুরুত্বপদার্থ পরিবহন এবং মিশ্রণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।জীবন্ত কোষের মধ্যে জলীয় ভারসাম্য বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ।
      সমাপ্তি পদ্ধতিপুরো পদ্ধতি সমাপ্ত হয় যখন ঘনত্ব উভয় দিকে সমান হয়।ঘনত্ব সমান হলেও চাপের পার্থক্য বজায় থাকে।
      ব্যবহারিক উদাহরণএক কাপ চায়ে চিনি দিলে চিনি ধীরে ধীরে পুরো চায়ে ছড়িয়ে পড়া।আঙ্গুর শুকিয়ে কিশমিশ হওয়া।

       

      উদাহরণ দিয়ে ব্যাখ্যা

      • ব্যাপন উদাহরণ: আপনি যদি এক গ্লাস পানিতে একটু কালি দেন, তাহলে আপনি দেখবেন কালি ধীরে ধীরে পানির মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে। এটি ব্যাপনের উদাহরণ।
      • নিঃসরণ উদাহরণ: যদি একটি কাঁচা আলুকে লবণ পানিতে রাখা হয়, তাহলে কিছুক্ষণ পর দেখা যায় আলুর ভেতরের পানি লবণ পানিতে চলে গেছে এবং আলু শুকিয়ে গিয়েছে। এটি নিঃসরণের উদাহরণ।

      উপসংহার

      ব্যাপন ও নিঃসরণ উভয়ই গুরুত্বপূর্ণ শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া, যা জীবের কোষের স্বাভাবিক কার্যক্রম বজায় রাখতে সহায়ক। জীববিজ্ঞানের এই বিষয়গুলো বুঝতে পারলে জীবনের জৈবিক প্রক্রিয়াগুলো সহজে উপলব্ধি করা যায়।

      See less
        • 0
      • Share
        Share
        • Share on Facebook
        • Share on Twitter
        • Share on LinkedIn
        • Share on WhatsApp
        • Report
    • Asked: January 9, 2025In: আইন, কি

      জজ এবং ব্যারিস্টার এর পার্থক্য কি ?

      PARTHA BHAKTA
      PARTHA BHAKTA Enlightened
      Added an answer on January 18, 2025 at 3:34 pm

      আমাদের দেশে আইন ও বিচার ব্যবস্থার দুটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র হল জজ এবং ব্যারিস্টার। কিন্তু এই দুইজনের কাজ এক নয়। আজকে আমরা জানবো তাদের মধ্যে কী কী পার্থক্য। জজ কে? জজ হলেন আদালতে বসে মামলা-মোকদ্দমার বিচার করেন এমন একজন ব্যক্তি। তিনি আইনের নিরপেক্ষতা বজায় রেখে সঠিক সিদ্ধান্ত দেন। জজকে আমরা একজন রেফারRead more

      আমাদের দেশে আইন ও বিচার ব্যবস্থার দুটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র হল জজ এবং ব্যারিস্টার। কিন্তু এই দুইজনের কাজ এক নয়। আজকে আমরা জানবো তাদের মধ্যে কী কী পার্থক্য।

      জজ কে?

      জজ হলেন আদালতে বসে মামলা-মোকদ্দমার বিচার করেন এমন একজন ব্যক্তি। তিনি আইনের নিরপেক্ষতা বজায় রেখে সঠিক সিদ্ধান্ত দেন। জজকে আমরা একজন রেফারির মতোও ভাবতে পারি, যিনি খেলার মাঠে সবাইকে নিয়ম মেনে চলতে বলে এবং শেষে কে জিতেছে তা ঘোষণা করে।

      ব্যারিস্টার কে?

      ব্যারিস্টার হলেন আদালতে একজন মামলার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন এমন একজন আইনজীবী। তিনি তার ক্লায়েন্টের পক্ষে সবচেয়ে ভালো যুক্তি তুলে ধরার চেষ্টা করেন। ব্যারিস্টারকে আমরা একজন খেলোয়াড়ের মতো ভাবতে পারি, যিনি জিতার জন্য সবচেয়ে ভালোভাবে খেলার চেষ্টা করে।

      জজ এবং ব্যারিস্টারের মধ্যে পার্থক্য:

      বিষয়জজ (বিচারক)ব্যারিস্টার
      সংজ্ঞাবিচারক, যিনি আদালতে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করেন।উচ্চ আদালতে মামলা লড়ার জন্য প্রশিক্ষিত আইনজীবী।
      ভূমিকামামলার রায় প্রদান এবং আইন প্রয়োগে কর্তৃত্ব।মামলায় মক্কেলের পক্ষে বক্তব্য প্রদান ও আইনি পরামর্শ।
      শিক্ষাগত যোগ্যতাস্থানীয় আইন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও বিচারক নিয়োগ পরীক্ষা।বিদেশে বার কাউন্সিল থেকে বার অ্যাট ল অর্জন।
      কাজের স্থানআদালতের বিচারকক্ষ।আদালতে এবং মক্কেলের সাথে পরামর্শের জন্য অফিস।
      নিয়োগ পদ্ধতিসরকারি পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ।স্বাধীনভাবে চেম্বার পরিচালনা বা আইনি প্রতিষ্ঠানে কাজ।
      দায়িত্বনিরপেক্ষভাবে রায় প্রদান।মক্কেলের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন।
      ক্ষমতাআইন অনুযায়ী সাজা প্রদান বা মামলা খারিজ।মামলা পরিচালনার মাধ্যমে রায়ে প্রভাব ফেলার চেষ্টা।
      প্রশিক্ষণদেশে বিচারিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে প্রশিক্ষণ।ইংল্যান্ডের ইনস অব কোর্ট থেকে প্রশিক্ষণ।
      পরিচিতিবিচারব্যবস্থার এক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।আইন পেশার উচ্চপর্যায়ের একজন আইনজীবী।
      উদাহরণএকটি হত্যা মামলায় জজ রায় প্রদান করেন।সেই মামলায় ব্যারিস্টার যুক্তি উপস্থাপন করেন।
      কাজজজ আদালতের প্রধান হিসেবে কাজ করেন।আদালতের একজন সদস্য
      সিদ্ধান্তজজ মামলার শেষে সিদ্ধান্ত দেন।সিদ্ধান্ত নেন না
      প্রশ্নজজ সাক্ষীদের প্রশ্ন করে সত্যতা নিশ্চিত করেন।সাক্ষীদের প্রশ্ন করতে পারেন

      উদাহরণ: ধরো, তুমি একটা খেলার মাঠে। একজন রেফারি আছে যিনি খেলায় নিয়ম মেনে চলা নিশ্চিত করেন এবং শেষে কে জিতেছে তা ঘোষণা করেন। তিনি জজের মতো। আর দুইটি দলের খেলোয়াড়রা তাদের দলের জন্য জিতার চেষ্টা করে। তারা ব্যারিস্টারের মতো।

      সারসংক্ষেপ: জজ এবং ব্যারিস্টার দুজনই আইন ব্যবস্থার গুরুত্বপূর্ণ অংশ। জজ আদালতে নিরপেক্ষভাবে বিচার করেন এবং আইনের শাসন বজায় রাখেন। অন্যদিকে, ব্যারিস্টার তার ক্লায়েন্টের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করে এবং তার স্বার্থ রক্ষা করার চেষ্টা করেন।

      বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে: বাংলাদেশের আদালতগুলোতেও এই দুই ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের দেশে জজ এবং ব্যারিস্টাররা মিলে মিশে আইনের শাসন কায়েম রাখতে কাজ করে।

      See less
        • 0
      • Share
        Share
        • Share on Facebook
        • Share on Twitter
        • Share on LinkedIn
        • Share on WhatsApp
        • Report
    • Asked: January 9, 2025In: অন্যান্য, কি

      জাতি ও জাতীয়তার মধ্যে পার্থক্য কি ?

      PARTHA BHAKTA
      PARTHA BHAKTA Enlightened
      Added an answer on January 9, 2025 at 5:18 pm

      জাতি ও জাতীয়তা – এই দুটি শব্দ প্রায়ই আমরা একই অর্থে ব্যবহার করি, কিন্তু এদের মধ্যে সূক্ষ্ম কিছু পার্থক্য আছে। চলো, আজ আমরা এই পার্থক্যগুলো সহজ ভাষায় বোঝার চেষ্টা করি: জাতি (Ethnicity): জাতি হলো মূলত একদল মানুষের সমষ্টি, যারা একই ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, ভাষা, ইতিহাস এবং জীবনযাপন পদ্ধতি অনুসরণ করে। তারাRead more

      জাতি ও জাতীয়তা – এই দুটি শব্দ প্রায়ই আমরা একই অর্থে ব্যবহার করি, কিন্তু এদের মধ্যে সূক্ষ্ম কিছু পার্থক্য আছে। চলো, আজ আমরা এই পার্থক্যগুলো সহজ ভাষায় বোঝার চেষ্টা করি:

      জাতি (Ethnicity):

      জাতি হলো মূলত একদল মানুষের সমষ্টি, যারা একই ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, ভাষা, ইতিহাস এবং জীবনযাপন পদ্ধতি অনুসরণ করে। তারা একটি shared identity বা সম্মিলিত পরিচয়ে আবদ্ধ। একটি জাতির মানুষ একই ভুখণ্ডে বসবাস করতে পারে, আবার নাও পারে। যেমন- বাঙালি একটি জাতি, যারা বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ এবং পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে আছে।

      জাতীয়তা (Nationality):

      অন্যদিকে, জাতীয়তা হলো একটি আইনি এবং রাজনৈতিক পরিচয়। এটি একটি দেশের নাগরিক হওয়ার সূত্রে পাওয়া যায়। জাতীয়তা একটি রাষ্ট্রের সাথে ব্যক্তির সম্পর্ক স্থাপন করে। একটি দেশের সরকারই ঠিক করে কারা সেই দেশের নাগরিক এবং কাদের কী কী অধিকার ও দায়িত্ব থাকবে। যেমন- একজন বাংলাদেশী নাগরিকের জাতীয়তা হলো বাংলাদেশী।

      জাতি ও জাতীয়তার পার্থক্য:

      পার্থক্যের বিষয়জাতিজাতীয়তা
      সংজ্ঞাসাধারণ ভাষা, সংস্কৃতি, এবং ঐতিহ্য দ্বারা গঠিত গোষ্ঠী।রাষ্ট্র বা দেশের সাথে আইনি এবং রাজনৈতিক সম্পর্ক।
      মূল ভিত্তিভাষা, সংস্কৃতি, ইতিহাস, এবং ঐতিহ্য।নাগরিকত্ব এবং দেশের প্রতি আনুগত্য।
      ভৌগোলিক সংযোগসাধারণত একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলের সাথে যুক্ত।একটি দেশের সাথে আইনগতভাবে সংযুক্ত।
      উদাহরণবাঙালি, নেপালি, তামিল।বাংলাদেশি, ভারতীয়, আমেরিকান।
      পরিবর্তনশীলতাজাতি পরিবর্তন করা প্রায় অসম্ভব।জাতীয়তা পরিবর্তন করা সম্ভব (উদাহরণ: নাগরিকত্ব পরিবর্তন)।
      ভাষার প্রভাবসাধারণত একই ভাষা ব্যবহার করে।ভিন্ন ভাষা হলেও জাতীয়তার অধিকার থাকতে পারে।
      ঐতিহাসিক গুরুত্বজাতির ইতিহাস দীর্ঘমেয়াদী এবং প্রাচীন হতে পারে।জাতীয়তার ইতিহাস দেশের স্বাধীনতার ওপর নির্ভরশীল।
      একতাসংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য তাদের একত্রিত করে।দেশের প্রতি আনুগত্য এবং আইন তাদের একত্রিত করে।
      ধর্মের প্রভাবএকই ধর্ম অনুসরণ করতে পারে।জাতীয়তার ক্ষেত্রে ধর্ম প্রয়োজনীয় নয়।
      নাগরিকত্বের প্রয়োজনজাতি হতে নাগরিকত্বের প্রয়োজন নেই।জাতীয়তার জন্য নাগরিকত্ব অপরিহার্য।
      সাংস্কৃতিক সংহতিজাতি সাংস্কৃতিকভাবে সংহত হতে পারে।জাতীয়তা আইনি এবং রাজনৈতিক সংহতির উপর ভিত্তি করে।
      বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটবাংলাদেশে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী বসবাস করে, যেমন- বাঙালি, চাকমা, মারমা, সাঁওতাল। তারা প্রত্যেকেই ভিন্ন ভিন্ন সংস্কৃতির ধারক।বাংলাদেশে বসবাসকারী সকল নাগরিকের জাতীয়তা বাংলাদেশী।

      উদাহরণসহ আরও কিছু ব্যাখ্যা:

      • একজন ব্যক্তির জন্ম যদি বাংলাদেশে হয় এবং তার বাবা-মা বাংলাদেশী হন, তাহলে তিনি জন্মসূত্রে বাংলাদেশী জাতির অংশ এবং তার জাতীয়তাও বাংলাদেশী।
      • বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অনেক বাঙালি বসবাস করে। তারা বাঙালি জাতির অংশ, কিন্তু তাদের জাতীয়তা ভিন্ন হতে পারে (যেমন- কেউ হয়তো ব্রিটিশ বা আমেরিকান নাগরিক)।
      • কুর্দিরা একটি জাতি, যাদের নিজস্ব কোনো রাষ্ট্র নেই। তাই তাদের জাতীয়তা বিভিন্ন দেশের (যেমন- তুরস্ক, ইরাক, ইরান, সিরিয়া) নাগরিকত্বের উপর নির্ভর করে।

      বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে:

      বাংলাদেশে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মানুষ একসাথে বসবাস করে। এটি আমাদের দেশের একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য। এখানে যেমন বাঙালিরা সংখ্যাগরিষ্ঠ, তেমনি অনেক ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীও রয়েছে, যাদের নিজস্ব ভাষা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য আছে। এই বৈচিত্র্যই আমাদের দেশকে সমৃদ্ধ করেছে। আমাদের সংবিধানে সকল নাগরিকের সমান অধিকারের কথা বলা হয়েছে, যা জাতীয়তার ধারণার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক।

      আশা করি, এই আলোচনার মাধ্যমে তোমরা জাতি ও জাতীয়তার মধ্যেকার পার্থক্য স্পষ্টভাবে বুঝতে পেরেছ। এই বিষয়ে আরও কোনো প্রশ্ন থাকলে করতে পারো।

      See less
        • 0
      • Share
        Share
        • Share on Facebook
        • Share on Twitter
        • Share on LinkedIn
        • Share on WhatsApp
        • Report
    • Asked: January 28, 2025In: কি

      ইন্ডাকশন ও ইনফ্রারেড চুলার পার্থক্য কী ?

      PARTHA BHAKTA
      PARTHA BHAKTA Enlightened
      Added an answer on August 28, 2024 at 8:02 am

      আপনি কি রান্নাঘরে নতুন চুলা কিনতে চাচ্ছেন? ইন্ডাকশন আর ইনফ্রারেড চুলা – এই দুইয়ের মধ্যে কোনটি বেছে নেবেন, তা নিয়ে হয়তো আপনার মনে অনেক প্রশ্ন জাগছে। চিন্তা করবেন না, আমরা আজকে এই দুই ধরনের চুলার মধ্যে পার্থক্যগুলো খুব সহজে বুঝিয়ে দেব। যাতে আপনি নিজেই সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। ইন্ডাকশন চুলা কী? কল্পনRead more

      আপনি কি রান্নাঘরে নতুন চুলা কিনতে চাচ্ছেন? ইন্ডাকশন আর ইনফ্রারেড চুলা – এই দুইয়ের মধ্যে কোনটি বেছে নেবেন, তা নিয়ে হয়তো আপনার মনে অনেক প্রশ্ন জাগছে। চিন্তা করবেন না, আমরা আজকে এই দুই ধরনের চুলার মধ্যে পার্থক্যগুলো খুব সহজে বুঝিয়ে দেব। যাতে আপনি নিজেই সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।

      ইন্ডাকশন চুলা কী?

      কল্পনা করুন, আপনি একটি চুম্বককে একটি লোহার পাত্রের কাছে আনছেন। লোহার পাত্রটি চুম্বকের দিকে আকৃষ্ট হবে, তাই না? ইন্ডাকশন চুলাও অনেকটা একইভাবে কাজ করে। এখানে চুম্বকের পরিবর্তে বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হয়। বিদ্যুৎ চুলাটির নিচে একটি চৌম্বক ক্ষেত্র তৈরি করে। এই চৌম্বক ক্ষেত্রটি যখন লোহা বা স্টেইনলেস স্টিলের পাত্রের নিচে আসে, তখন পাত্রটি নিজেই গরম হয়ে ওঠে। আর এই গরম পাত্রেই আমরা খাবার রান্না করি।

      ইনফ্রারেড চুলা কী?

      ইনফ্রারেড চুলা একটু আলাদা। এটি সরাসরি তাপ তৈরি করে। চুলার নিচের একটি বিশেষ উপাদানকে গরম করা হয়। এই উপাদানটি থেকে তাপ তরঙ্গ বের হয়, যা সরাসরি পাত্রকে গরম করে। এটি একটু সূর্যের মতো কাজ করে। সূর্য থেকে আসা তাপ আমাদেরকে গরম করে, ঠিক তেমনি ইনফ্রারেড চুলা থেকে আসা তাপ পাত্রকে গরম করে।

      ইন্ডাকশন ও ইনফ্রারেড চুলার মধ্যে পার্থক্য:

      পার্থক্যইন্ডাকশন চুলাইনফ্রারেড চুলা
      তাপ উৎপাদন পদ্ধতিচৌম্বকীয় ক্ষেত্র তৈরি করে পাত্রকে সরাসরি গরম করেইনফ্রারেড রশ্মি দ্বারা তাপ সরবরাহ করে
      পাত্রের প্রয়োজনীয়তাশুধুমাত্র ধাতব পাত্রে কাজ করেযেকোনো পাত্রে কাজ করে, যেমন কাচ বা সিরামিক
      তাপের গতিদ্রুত তাপ তৈরি হয় এবং রান্না করেতুলনামূলক ধীরে তাপ তৈরি হয়
      এনার্জি সাশ্রয়এনার্জি সাশ্রয়ীএনার্জি সাশ্রয়ী নয়
      সতর্কতাচুলার পৃষ্ঠ ঠান্ডা থাকে, তাই পুড়ে যাওয়ার ঝুঁকি কমপৃষ্ঠ গরম হয়ে যেতে পারে, পুড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে
      তাপ নিয়ন্ত্রণঅত্যন্ত নির্দিষ্ট তাপ নিয়ন্ত্রণতাপ নিয়ন্ত্রণ কম নির্দিষ্ট
      কার্যকারিতাপাত্রের নির্দিষ্ট অংশে তাপ দেয়পাত্রের সম্পূর্ণ অংশে তাপ সরবরাহ করে
      শব্দসাধারণত নীরবকিছু মডেলে হালকা শব্দ হতে পারে
      সেবা জীবনদীর্ঘস্থায়ীতুলনামূলকভাবে কম স্থায়ী
      বিদ্যুৎ খরচতুলনামূলকভাবে ব্যয়বহুলকম খরচে পাওয়া যায়
      রান্নার উদাহরণইন্ডাকশন চুলায় তেল খুব দ্রুত গরম হয়, যেমন ৩০ সেকেন্ডের মধ্যেইনফ্রারেড চুলায় পিজা বা রুটি গরম করতে ভালো কাজ করে
      সুরক্ষাখুব নিরাপদ, চুলা নিজে গরম হয় না, শুধু পাত্রটি গরম হয়চুলা নিজেও কিছুটা গরম হয়, তাই সাবধানে ব্যবহার করতে হবে
      সাফাইখুব সহজে পরিষ্কার করা যায়, চুলায় কোনো দাগ লাগে নাচুলার উপর দাগ লাগতে পারে

      উদাহরণ:

      • আপনি যদি দ্রুত এবং স্বাস্থ্যকর খাবার রান্না করতে চান, তাহলে ইন্ডাকশন চুলা আপনার জন্য উপযুক্ত।
      • আপনি যদি যেকোন ধরনের পাত্র ব্যবহার করতে চান এবং বাজেটের মধ্যে থাকতে চান, তাহলে ইনফ্রারেড চুলা ভালো হবে।

      উপসংহার:

      ইন্ডাকশন ও ইনফ্রারেড চুলা দুইটিই ভালো। কোনটি আপনার জন্য উপযুক্ত, তা আপনার নিজের চাহিদা ও বাজেটের উপর নির্ভর করে।

      See less
        • 0
      • Share
        Share
        • Share on Facebook
        • Share on Twitter
        • Share on LinkedIn
        • Share on WhatsApp
        • Report
    • Asked: August 21, 2024In: কি, বিজ্ঞান

      সাধু ও চলিত ভাষার পার্থক্য কি?

      PARTHA BHAKTA
      PARTHA BHAKTA Enlightened
      Added an answer on August 21, 2024 at 9:35 am

      আপনারা কি কখনো লক্ষ করেছো, বাড়ির বড়রা কথা বলার সময় অনেক সময় এমন কিছু শব্দ ব্যবহার করেন যা তোমরা বুঝতে পারো না? আবার, তোমরা তোমাদের বন্ধুদের সাথে কথা বলার সময় এমন কিছু শব্দ ব্যবহার করো যা তোমাদের বাবা-মা হয়তো বুঝতে পারেন না? এটা কেন হয়? কারণ আমাদের ভাষাটা একটু আলাদা আলাদা হয়ে থাকে। আসলে, আমাদRead more

      আপনারা কি কখনো লক্ষ করেছো, বাড়ির বড়রা কথা বলার সময় অনেক সময় এমন কিছু শব্দ ব্যবহার করেন যা তোমরা বুঝতে পারো না? আবার, তোমরা তোমাদের বন্ধুদের সাথে কথা বলার সময় এমন কিছু শব্দ ব্যবহার করো যা তোমাদের বাবা-মা হয়তো বুঝতে পারেন না? এটা কেন হয়? কারণ আমাদের ভাষাটা একটু আলাদা আলাদা হয়ে থাকে। আসলে, আমাদের বাংলা ভাষার দুটি প্রধান রূপ আছে: সাধু ভাষা আর চলিত ভাষা।

      সাধু ভাষা:

      সাধু ভাষা হলো বাংলা ভাষার একটি প্রাচীন ও প্রথাগত রূপ, যা মূলত সাহিত্যিক, ধর্মীয় গ্রন্থ ও গদ্যে ব্যবহৃত হয়। এটি উচ্চমানের ও শুদ্ধ ভাষারূপ হিসেবে বিবেচিত হয় এবং এতে প্রাচীন ও ক্লাসিকাল শব্দের ব্যবহার বেশি দেখা যায়। সাধু ভাষা মূলত গদ্যের ভাষা হিসেবে ব্যবহৃত হত এবং এখনো কিছু সাহিত্যিক রচনায় বা আনুষ্ঠানিক লেখায় দেখা যায়।

      চলিত ভাষা:

      চলিত ভাষা হলো বাংলা ভাষার সেই রূপ, যা সাধারণ কথাবার্তায়, সংবাদপত্রে, দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত হয়। এটি সাধু ভাষার তুলনায় সহজ, স্বাভাবিক, এবং প্রায়োগিক। চলিত ভাষা বাংলা সাহিত্যে ও অন্যান্য ক্ষেত্রে ক্রমশ জনপ্রিয় হয়েছে এবং এখন বাংলা ভাষার প্রধান রূপ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

      সাধু ভাষা ও চলিত ভাষার মধ্যে পার্থক্য:

      বিষয়সাধু ভাষাচলিত ভাষা
      উদ্ভব ও প্রচলনসাধু ভাষা প্রাচীন ও প্রথাগত, মূলত সাহিত্যিক ও ধর্মীয় গ্রন্থে ব্যবহৃত।চলিত ভাষা আধুনিক ও সাধারণ মানুষের কথাবার্তায় ব্যবহৃত।
      ব্যবহৃত ক্ষেত্রসাহিত্যিক গদ্য, ধর্মীয় গ্রন্থ, প্রথাগত লেখায়।সংবাদপত্র, দৈনন্দিন কথা, গল্প, উপন্যাস, এবং সাধারণ কথাবার্তা।
      ভাষার সরলতাসাধু ভাষা সাধারণত জটিল এবং শুদ্ধ শব্দ ও ব্যাকরণ অনুসরণ করে।চলিত ভাষা সহজ, সরল, ও দৈনন্দিন জীবনের জন্য উপযোগী।
      ক্রিয়াপদসাধু ভাষায় ‘করিলাম’, ‘যাহা’, ‘হইল’ এর মতো ক্রিয়াপদের ব্যবহার হয়।
      চলিত ভাষায় ‘করলাম’, ‘যা’, ‘হলো’ এর মতো সহজ ক্রিয়াপদ ব্যবহৃত হয়।
      বাক্য গঠনসাধু ভাষায় বাক্যগুলো দীর্ঘ ও জটিল হতে পারে।চলিত ভাষায় বাক্যগুলো সাধারণত ছোট ও সহজ।
      শব্দের ব্যবহারপ্রাচীন ও সংস্কৃত ভিত্তিক শব্দের ব্যবহার বেশি।চলিত ভাষায় তৎসম ও তদ্ভব শব্দের ব্যবহার বেশি।
      উচ্চারণসাধু ভাষার উচ্চারণ শুদ্ধ ও প্রমিত।চলিত ভাষার উচ্চারণ স্থানীয় ও স্বাভাবিক।
      প্রভাবসাধু ভাষার প্রভাব প্রধানত সংস্কৃত ও পুরাতন বাংলা ভাষার ওপর।চলিত ভাষা বাংলার আধুনিক ও জনপ্রিয় রূপ হিসেবে বিবেচিত।
      সময়কালসাধু ভাষা প্রধানত ১৯ শতকের বাংলা সাহিত্যে ব্যবহৃত হয়েছে।চলিত ভাষা ২০ শতক থেকে বর্তমান পর্যন্ত ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত।
      উদাহরণসাধু ভাষা: “তাহারা করিলেন”চলিত ভাষা: “তারা করলো”

       

      কেন এই পার্থক্য?

      ভাষাটা একটা জীবন্ত জিনিস। এটা সবসময় পরিবর্তন হতে থাকে। নতুন নতুন শব্দ যুক্ত হয়, পুরনো শব্দ ব্যবহার বন্ধ হয়ে যায়। এই কারণেই সাধু ভাষা আর চলিত ভাষার মধ্যে এত পার্থক্য।

      কেন সাধু ভাষা শিখতে হবে?

      সাধু ভাষা শিখলে আপনি আমাদের দেশের সমৃদ্ধ সাহিত্যকে আরো ভালোভাবে উপভোগ করতে পারবে। এছাড়া, সাধু ভাষা শিখলে তোমার ভাষা জ্ঞান আরো বৃদ্ধি পাবে।

      কেন চলিত ভাষা শিখতে হবে?

      চলিত ভাষা শিখলে আপনি অন্যদের সাথে সহজে যোগাযোগ করতে পারবে। এছাড়া, চলিত ভাষা শিখলে তুমি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, টেলিভিশন ইত্যাদি সহজে বুঝতে পারবে।

      আশা করি এটি পড়ার মাধ্যমে আপনার ভাষাগত যে পার্থক্য জানার ছিল সে বিষয়টি সম্পূর্ণ বুঝতে পেরেছেন এবং শিখতে পেরেছেন যদি নতুন কিছু জানার থাকে তাহলে অবশ্যই প্রশ্নটি আমাদেরকে করুন ।

      See less
        • 0
      • Share
        Share
        • Share on Facebook
        • Share on Twitter
        • Share on LinkedIn
        • Share on WhatsApp
        • Report
    • Asked: August 21, 2024In: জীববিজ্ঞান, বিজ্ঞান

      ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার পার্থক্য কি ?

      PARTHA BHAKTA
      PARTHA BHAKTA Enlightened
      Added an answer on August 21, 2024 at 9:27 am

      ভাইরাস কী? ভাইরাস হলো খুবই ছোট এক ধরনের জিনিস। এত ছোট যে একে আমরা খালি চোখে দেখতে পাই না। ভাইরাসের নিজের কোন জীবন নেই। একে বলা হয়, ‘অজীব জীব’। অর্থাৎ, এটি একা একা বাঁচতে পারে না। অর্থাৎ এরা নিজেরা নিজেদের সাথে বংশবিস্তার করতে পারেনা । ভাইরাসকে বাঁচার জন্য অন্য কোন জীবের দেহের প্রয়োজন হয়। যেমন, আমRead more

      ভাইরাস কী?

      ভাইরাস হলো খুবই ছোট এক ধরনের জিনিস। এত ছোট যে একে আমরা খালি চোখে দেখতে পাই না। ভাইরাসের নিজের কোন জীবন নেই। একে বলা হয়, ‘অজীব জীব’। অর্থাৎ, এটি একা একা বাঁচতে পারে না। অর্থাৎ এরা নিজেরা নিজেদের সাথে বংশবিস্তার করতে পারেনা । ভাইরাসকে বাঁচার জন্য অন্য কোন জীবের দেহের প্রয়োজন হয়। যেমন, আমাদের দেহ। ভাইরাস আমাদের দেহের কোষের ভেতরে ঢুকে গিয়ে সেই কোষকে ব্যবহার করে নিজেদের অনেকগুলি করে তোলে। এভাবেই আমরা ভাইরাসজনিত রোগে আক্রান্ত হই। ভাইরাস সাধারণত প্রোটিনের খোলস এবং ভিতরে জেনেটিক উপাদান (ডিএনএ বা আরএনএ) নিয়ে গঠিত।

      ব্যাকটেরিয়া কী?

      ব্যাকটেরিয়া হলো এককোষী জীব। অর্থাৎ, এর দেহে মাত্র একটি কোষ থাকে। ব্যাকটেরিয়া বিভিন্ন আকারের হয়। কিছু গোলাকার, কিছু দণ্ডাকার আবার কিছু প্যাঁচানো। ব্যাকটেরিয়া মাটিতে, পানিতে, আমাদের দেহে এমনকি খাবারেও থাকে। সব ব্যাকটেরিয়া খারাপ নয়। অনেক ব্যাকটেরিয়া আমাদের জন্য উপকারীও। যেমন, দই তৈরিতে ব্যাকটেরিয়া ব্যবহৃত হয়।ব্যাকটেরিয়ারা সাধারণত ডিএনএ নিয়ে গঠিত এবং তাদের কোষে প্রোটিন, রাইবোজোম এবং অন্যান্য জৈবিক উপাদান থাকে।

      ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার মধ্যে পার্থক্য

      পার্থক্যসূচক বৈশিষ্ট্যভাইরাসব্যাকটেরিয়া
      গঠনপ্রোটিন খোলস এবং জেনেটিক উপাদান (ডিএনএ বা আরএনএ) নিয়ে গঠিতকোষ, ডিএনএ, রাইবোজোম এবং অন্যান্য উপাদান নিয়ে গঠিত
      আকারঅত্যন্ত ক্ষুদ্র, সাধারণ মাইক্রোস্কোপে দেখা যায় নামাইক্রোস্কোপে দেখা যায়, আকারে তুলনামূলকভাবে বড়
      বংশবৃদ্ধিশুধুমাত্র জীবিত কোষের ভিতরে বংশবৃদ্ধি করতে পারেনিজে থেকে বিভাজনের মাধ্যমে বংশবৃদ্ধি করতে সক্ষম
      জৈবিক কার্যক্রমকোন নিজস্ব জৈবিক কার্যক্রম নেইনিজস্ব জৈবিক কার্যক্রম যেমন খাদ্য গ্রহণ, বর্জ্য নিষ্কাশন আছে
      পরিবেশের উপর নির্ভরশীলতাবেঁচে থাকার জন্য জীবিত কোষ প্রয়োজনবিভিন্ন পরিবেশে স্বতন্ত্রভাবে বেঁচে থাকতে পারে
      প্রকারভেদডিএনএ ভাইরাস, আরএনএ ভাইরাস, এবং অন্যান্য প্রকারভেদগ্রাম-পজিটিভ, গ্রাম-নেগেটিভ, এবং অন্যান্য প্রকারভেদ
      চিকিৎসাভাইরাসের জন্য বিশেষ অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ প্রয়োজনব্যাকটেরিয়ার জন্য সাধারণত অ্যান্টিবায়োটিক কার্যকর
      উদাহরণইনফ্লুয়েঞ্জা, এইচআইভিই-কোলাই, সালমোনেলা
      সংক্রমণ ক্ষমতাভাইরাস সাধারণত দ্রুত সংক্রমণ ছড়ায়কিছু ব্যাকটেরিয়া ধীরে ধীরে সংক্রমণ করে
      প্রতিরোধ ক্ষমতাভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরিতে ভ্যাকসিন কার্যকরব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতায় অ্যান্টিবায়োটিক কার্যকর
      উদাহরণকরোনাভাইরাসই-কোলাই

      More: ধাতু ও অধাতুর মধ্যে পার্থক্য ?

      কিছু মজার তথ্য

      • ভাইরাসকে মেরে ফেলতে অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করে না। অ্যান্টিবায়োটিক শুধু ব্যাকটেরিয়াকে মারতে পারে।
      • ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া দুইই খুব ছোট হওয়ায় এদের দেখতে মাইক্রোস্কোপ ব্যবহার করতে হয়।
      • কিছু ব্যাকটেরিয়া আমাদের জন্য উপকারী হলেও অনেক ব্যাকটেরিয়া রোগ সৃষ্টি করে।

      এই তথ্য শুধুমাত্র সাধারণ জ্ঞানের জন্য। কোনো রোগের চিকিৎসার জন্য ডাক্তারের পরামর্শ অবশ্যই নিন। আশা করি আপনি এখন ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার পার্থক্যগুলো খুব সহজে বুঝতে পেরেছেন ধন্যবাদ।

      See less
        • 0
      • Share
        Share
        • Share on Facebook
        • Share on Twitter
        • Share on LinkedIn
        • Share on WhatsApp
        • Report
    • Asked: August 15, 2024In: জীববিজ্ঞান, বিজ্ঞান

      উদ্ভিদ কোষ ও প্রাণী কোষের মধ্যে পার্থক্য কি?

      PARTHA BHAKTA
      PARTHA BHAKTA Enlightened
      Added an answer on August 15, 2024 at 8:04 pm
      This answer was edited.

      উদ্ভিদ এবং প্রাণী কোষ এর ব্যাপারে আপনার জানতে হলে সবার প্রথমে বুঝতে হবে কোষ কাকে বলে আসুন এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা জেনে নেই উদ্ভিদ এবং প্রাণী কোষের পার্থক্য বিস্তারিতভাবে । কোষ কী? কোষ হলো সকল জীবের মৌলিক গঠন একক। মনে করুন, একটি ইট দিয়ে একটি বাড়ি তৈরি করা হয়, ঠিক তেমনি কোষ দিয়ে একটি জীবদেহ তৈরি হRead more

      উদ্ভিদ এবং প্রাণী কোষ এর ব্যাপারে আপনার জানতে হলে সবার প্রথমে বুঝতে হবে কোষ কাকে বলে আসুন এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা জেনে নেই উদ্ভিদ এবং প্রাণী কোষের পার্থক্য বিস্তারিতভাবে ।

      কোষ কী?

      কোষ হলো সকল জীবের মৌলিক গঠন একক। মনে করুন, একটি ইট দিয়ে একটি বাড়ি তৈরি করা হয়, ঠিক তেমনি কোষ দিয়ে একটি জীবদেহ তৈরি হয়। কোষ এতই ছোট যে একে খালি চোখে দেখা যায় না। একটি মাইক্রোস্কোপের সাহায্যে আমরা কোষকে দেখতে পাই।

      উদ্ভিদ কোষ কী?

      উদ্ভিদ কোষ হলো উদ্ভিদের দেহ গঠনকারী মৌলিক একক। উদাহরণস্বরূপ, একটি গাছের পাতা, কাণ্ড বা শিকড়, সবকিছুই অসংখ্য উদ্ভিদ কোষ মিলে গঠিত।

      প্রাণী কোষ কী?

      প্রাণী কোষ হলো প্রাণীর দেহ গঠনকারী মৌলিক একক। আমরা, তোমার পোষা কুকুর, বা পাখি – সবাই মিলিয়ে প্রাণী। আর আমাদের দেহের প্রতিটি অংশ, যেমন হাত, পা, চোখ, কান ইত্যাদি, সবকিছুই অসংখ্য প্রাণী কোষ মিলে গঠিত।

      উদ্ভিদ এবং প্রাণিসম্পর্কে জানতে এই প্রশ্নের উত্তরটি পড়ে আসতে পারেন : উদ্ভিদ কোষ ও প্রাণী কোষের মধ্যে পার্থক্য কি?

      উদ্ভিদ কোষ ও প্রাণী কোষের মধ্যে পার্থক্য

      উদ্ভিদ কোষ ও প্রাণী কোষের মধ্যে নিম্নলিখিত পার্থক্যগুলো রয়েছে:

      বিষয়উদ্ভিদ কোষপ্রাণী কোষ
      কোষ প্রাচীরশক্ত সেলুলোজ দ্বারা গঠিত কোষ প্রাচীর থাকে।
      কোষ প্রাচীর থাকে না, শুধুমাত্র কোষ ঝিল্লি থাকে।
      ক্লোরোপ্লাস্টক্লোরোপ্লাস্ট থাকে, যা সালোকসংশ্লেষণে সাহায্য করে।
      ক্লোরোপ্লাস্ট থাকে না।
      সেন্ট্রিওলসাধারণত সেন্ট্রিওল থাকে না।
      সেন্ট্রিওল থাকে, যা কোষ বিভাজনে সাহায্য করে।
      কেন্দ্রককেন্দ্রীয়ভাবে অবস্থিত থাকে।
      কেন্দ্রীয়ভাবে বা কোষের প্রান্তে অবস্থান করতে পারে।
      লাইকোপ্লাস্টসাধারণত থাকে, যা পুষ্টি সঞ্চয় করে।থাকে না।
      শ্রেণীকৃত অঙ্গাণুপ্লাস্টিড, বৃহৎ কেন্দ্রীয় রসায়নিক অঙ্গাণু থাকে।
      প্লাস্টিড থাকে না, ক্ষুদ্র রসায়নিক অঙ্গাণু থাকে।
      আকৃতিসাধারণত আয়তাকার বা বর্গাকার।
      গোলাকার বা অনিয়মিত আকৃতির।
      ভ্যাকুয়লবড় এবং কেন্দ্রীয়ভাবে অবস্থান করে।
      ছোট এবং অনেক সময় একাধিক থাকে।
      সংরক্ষণ ক্ষমতাখাদ্য ও পানি সঞ্চয়ের জন্য বিশেষায়িত থাকে।
      খাদ্য সঞ্চয় কম করে, সঞ্চয়ের জন্য বিশেষায়িত নয়।
      গলগি যন্ত্রগলগি যন্ত্র সংখ্যায় কম কিন্তু বড় আকারের।
      গলগি যন্ত্র সংখ্যায় বেশি কিন্তু ছোট আকারের।
      উদাহরণপাতা, ফল, ফুলের কোষ।
      মানুষের ত্বক, পেশী, রক্তের কোষ।

      কেন এই পার্থক্য গুরুত্বপূর্ণ?

      উদ্ভিদ ও প্রাণী কোষের এই পার্থক্যের কারণে উদ্ভিদ ও প্রাণীরা একে অপরের থেকে আলাদা। উদ্ভিদ স্থির জীবনযাপন করে এবং স্বয়ং খাদ্য তৈরি করে, আর প্রাণীরা সাধারণত স্থানান্তরিত হয় এবং অন্য জীবকে খেয়ে বা তাদের দেহ থেকে তৈরি পদার্থ খেয়ে খাদ্য গ্রহণ করে।

      উপসংহার:

      আশা করি, এই ব্যাখ্যাটি আপনার প্রাণী কোষ এবং উদ্ভিদ কোষের পার্থক্য গুলো স্পষ্ট করেছেমনে রাখবে, সব জীবের মৌলিক গঠন একক হলো কোষ। আর উদ্ভিদ ও প্রাণী কোষের মধ্যে কিছু মৌলিক পার্থক্য আছে যার কারণে তারা একে অপরের থেকে আলাদা।

      মজার তথ্য:

      • একটি শুধুমাত্র এক কোষ দিয়ে গঠিত জীবকে এককোষী জীব বলে।
      • একটির চেয়ে বেশি কোষ দিয়ে গঠিত জীবকে বহুকোষী জীব বলে।
      • মানুষ একটি বহুকোষী জীব।
      See less
        • 0
      • Share
        Share
        • Share on Facebook
        • Share on Twitter
        • Share on LinkedIn
        • Share on WhatsApp
        • Report
    • Asked: January 27, 2025In: জীববিজ্ঞান

      উদ্ভিদ ও প্রাণীর মধ্যে পার্থক্য ব্যাখ্যা কর ?

      PARTHA BHAKTA
      PARTHA BHAKTA Enlightened
      Added an answer on August 15, 2024 at 7:54 pm
      This answer was edited.

      উদ্ভিদ এবং প্রাণী প্রকৃতির দুটি প্রধান জীবজগৎ ও পৃথিবীর মূল ভিত্তি, উদ্ভিদ ও প্রাণীর জীবনচক্র, গঠন ও কার্যাবলীর মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। নিচে উদ্ভিদ ও প্রাণীর সংজ্ঞা ও তাদের পার্থক্যগুলো সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা হলো। উদ্ভিদের সংজ্ঞা উদ্ভিদ হলো এমন এক প্রকার স্বয়ংসম্পূর্ণ জীব। এরা নিজেরাই খাদ্য তৈRead more

      উদ্ভিদ এবং প্রাণী প্রকৃতির দুটি প্রধান জীবজগৎ ও পৃথিবীর মূল ভিত্তি, উদ্ভিদ ও প্রাণীর জীবনচক্র, গঠন ও কার্যাবলীর মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। নিচে উদ্ভিদ ও প্রাণীর সংজ্ঞা ও তাদের পার্থক্যগুলো সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা হলো।

      উদ্ভিদের সংজ্ঞা

      উদ্ভিদ হলো এমন এক প্রকার স্বয়ংসম্পূর্ণ জীব। এরা নিজেরাই খাদ্য তৈরি করে। সূর্যের আলো, পানি এবং মাটি থেকে নেওয়া খনিজ লবণের সাহায্যে তারা খাদ্য তৈরি করে। এই প্রক্রিয়াকে বলে ‘প্রক্রিয়াকরণ’। উদ্ভিদ গাছ, ফুল, ঘাস ইত্যাদি সবই উদ্ভিদের উদাহরণ।

      প্রাণীর সংজ্ঞা

      প্রাণী হলো সচল জীব। এরা নিজেরা খাদ্য তৈরি করতে পারে না। তাই অন্য জীব বা উদ্ভিদকে খেয়ে বা তাদের দেহ থেকে পুষ্টি উপাদান গ্রহণ করে বেঁচে থাকে। মানুষ, পশু, পাখি, মাছ ইত্যাদি সবই প্রাণীর উদাহরণ।

       

      উদ্ভিদ ও প্রাণীর মধ্যে পার্থক্য টেবিল

      বিষয়উদ্ভিদপ্রাণী
      খাদ্য প্রস্তুতিসালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় নিজেরাই খাদ্য তৈরি করে ।
      খাদ্য সংগ্রহ করে গ্রহণ করে।
      চলাচল ক্ষমতাস্থির থাকে, স্বতঃসিদ্ধভাবে চলতে পারে না।
      চলাফেরা করতে পারে।
      কোষের প্রকারকোষ প্রাচীর থাকে, ক্লোরোপ্লাস্ট থাকে।
      কোষ প্রাচীর থাকে না, ক্লোরোপ্লাস্ট থাকে না।
      শ্বসন প্রক্রিয়াঅক্সিজেন শোষণ করে এবং কার্বন ডাইঅক্সাইড নির্গত করে।
      অক্সিজেন শোষণ করে এবং কার্বন ডাইঅক্সাইড নির্গত করে।
      বংশবিস্তার প্রক্রিয়াবীজ, কন্দ বা গুটি থেকে জন্মায়।
      ডিম বা সরাসরি প্রজনন করে।
      স্নায়ুতন্ত্র/অনুভূতিস্পর্শ, আলো, তাপমাত্রা ইত্যাদির প্রতি সাড়া দেয়
      মস্তিষ্ক ও স্নায়ুতন্ত্র থাকে, ইন্দ্রিয় স্পর্শ, স্বাদ, গন্ধ, শব্দ, দৃষ্টি ইত্যাদির প্রতি সাড়া দেয়
      জীবনের সময়কালঅনেক উদ্ভিদের দীর্ঘ জীবনকাল থাকে।
      প্রাণীদের সাধারণত ছোট জীবনকাল থাকে।
      শক্তি গ্রহণ প্রক্রিয়াসূর্যের আলো থেকে শক্তি সংগ্রহ করে।
      খাদ্য থেকে শক্তি সংগ্রহ করে।
      পরিবেশের প্রভাবপরিবেশের ওপর নির্ভরশীল।
      পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে পারে।
      সংবেদনশীলতাতুলনামূলক কম সংবেদনশীল।উচ্চ সংবেদনশীল।
      উদাহরণআম গাছ, ধান গাছ, বাঁশ।
      মানুষ, কুকুর, পাখি।

      উপসংহার:

      উদ্ভিদ ও প্রাণী দুইই জীবজগতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এরা একে অপরের উপর নির্ভরশীল। উদ্ভিদ আমাদেরকে খাদ্য, অক্সিজেন এবং আশ্রয় দেয়। আর প্রাণীরা উদ্ভিদের বংশবিস্তারে সাহায্য করে। তাই উদ্ভিদ ও প্রাণী উভয়কেই আমাদের রক্ষা করা জরুরি।

      See less
        • -1
      • Share
        Share
        • Share on Facebook
        • Share on Twitter
        • Share on LinkedIn
        • Share on WhatsApp
        • Report
    • Asked: August 15, 2024In: কি, বিজ্ঞান

      নদ ও নদীর পার্থক্য কি ?

      PARTHA BHAKTA
      PARTHA BHAKTA Enlightened
      Added an answer on August 15, 2024 at 7:35 pm
      This answer was edited.

      নদ নদ বলতে বোঝায় এমন একটি প্রবাহিত জলধারা যা সাধারণত সরু এবং অপেক্ষাকৃত ছোট। এটি একটি নির্দিষ্ট উৎস থেকে উৎপন্ন হয়ে স্বল্প দূরত্ব অতিক্রম করে। বাংলাদেশের গ্রামীণ অঞ্চলে অনেক ছোট নদ রয়েছে, যা বর্ষাকালে পানিতে পূর্ণ থাকে এবং শুষ্ক মৌসুমে শুকিয়ে যায়। নদী নদী বলতে বোঝায় বৃহৎ ও দীর্ঘস্থায়ী জলপ্রবাRead more

      নদ

      নদ বলতে বোঝায় এমন একটি প্রবাহিত জলধারা যা সাধারণত সরু এবং অপেক্ষাকৃত ছোট। এটি একটি নির্দিষ্ট উৎস থেকে উৎপন্ন হয়ে স্বল্প দূরত্ব অতিক্রম করে। বাংলাদেশের গ্রামীণ অঞ্চলে অনেক ছোট নদ রয়েছে, যা বর্ষাকালে পানিতে পূর্ণ থাকে এবং শুষ্ক মৌসুমে শুকিয়ে যায়।

      নদী

      নদী বলতে বোঝায় বৃহৎ ও দীর্ঘস্থায়ী জলপ্রবাহ যা একটি নির্দিষ্ট উৎস থেকে উৎপন্ন হয়ে দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে সাগর বা মহাসাগরে পতিত হয়। এটি বৃহৎ পরিমাণে পানি বহন করে এবং সারাবছর প্রবাহিত হয়। উদাহরণস্বরূপ, পদ্মা নদী।

      পার্থক্যনদনদী
      সংজ্ঞাসরু ও ছোট জলধারাবৃহৎ ও দীর্ঘস্থায়ী জলপ্রবাহ
      প্রবাহের পরিধিসংক্ষিপ্ত দূরত্বে প্রবাহিতদীর্ঘ দূরত্বে প্রবাহিত
      জলধারার আকারছোট ও সরুবড় ও প্রশস্ত
      প্রভাবিত এলাকাস্থানীয়বৃহত্তর ভৌগোলিক এলাকা
      জলপ্রবাহসীমিত, ঋতুভিত্তিকস্থায়ী ও প্রবল
      উৎপত্তিস্থলস্বল্প উচ্চতা থেকে উৎপন্নউচ্চ পার্বত্য বা হিমালয় থেকে উৎপন্ন
      পানির পরিমাণকমবেশি
      অভিযোজনগ্রামীণ এলাকার ছোট নদীনগর ও গ্রামীণ উভয় এলাকায় প্রবাহিত বড় নদী
      প্রকৃতিঅস্থায়ী এবং ঋতুভিত্তিকস্থায়ী এবং সারাবছর প্রবাহিত
      উপযোগিতাস্থানীয় চাহিদা মেটানোবৃহত্তর অঞ্চলের চাহিদা মেটানো
      পতিত স্থলস্থানীয় জলাশয়ে পতিতসমুদ্র বা মহাসাগরে পতিত

      উদাহরণ

      উদাহরণ:

      • ব্রহ্মপুত্র একটি বড় নদী, যা তিব্বত থেকে উৎপত্তি লাভ করে এবং বাংলাদেশ হয়ে বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়।
      • মেঘনা ব্রহ্মপুত্রের একটি শাখা নদী, যা বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে বয়ে চলে।
      • গঙ্গা একটি বড় নদী, যা ভারত থেকে উৎপত্তি লাভ করে এবং বাংলাদেশ হয়ে বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়।
      • যমুনা গঙ্গার একটি শাখা নদী, যা বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে বয়ে চলে।

      এই পার্থক্যগুলো বুঝতে পারলে, আপনি সহজেই নদ এবং নদীর মধ্যে পার্থক্য করতে পারবেন এবং তাদের প্রভাব সম্পর্কে আরও পরিষ্কার ধারণা পাবেন।

      See less
        • 0
      • Share
        Share
        • Share on Facebook
        • Share on Twitter
        • Share on LinkedIn
        • Share on WhatsApp
        • Report
    1 2

    Sidebar

    Ask A Question

    Stats

    • Questions 123
    • Answers 120
    • Best Answers 19
    • Users 11
    • Popular
    • Answers
    • PARTHA BHAKTA

      অন্তবর্তীকালীন সরকার কাকে বলে ?

      • 1 Answer
    • PARTHA BHAKTA

      ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এর কাজ কি ?

      • 1 Answer
    • harenbhakta0000

      ডক্টর আর ডাক্তারের মধ্যে পার্থক্য কি ?

      • 1 Answer
    • anonymous
      anonymous added an answer সংজ্ঞা: বিভব পার্থক্য হলো দুটি বিন্দুর মধ্যে বৈদ্যুতিক সম্ভাবনা বা… March 21, 2025 at 7:46 pm
    • anonymous
      anonymous added an answer ইংরেজি রিডিং শিখা একদমই মজাদার এবং কার্যকরী হতে পারে যদি… March 21, 2025 at 7:41 pm
    • anonymous
      anonymous added an answer সংজ্ঞা: উপাত্ত (Data):উপাত্ত হলো কাঁচা বা অপ্রস্তুত তথ্য যা কোন… March 21, 2025 at 7:32 pm

    Top Members

    anonymous

    anonymous

    • 0 Questions
    • 1k Points
    Enlightened
    PARTHA BHAKTA

    PARTHA BHAKTA

    • 111 Questions
    • 1k Points
    Enlightened
    harenbhakta0000

    harenbhakta0000

    • 10 Questions
    • 88 Points
    Teacher

    Explore

    • Home
    • Add group
    • Groups page
    • Communities
    • Questions
      • New Questions
      • Trending Questions
      • Must read Questions
      • Hot Questions
    • Polls
    • Tags
    • Badges
    • Users
    • Help

    Footer

    © 2024 abogoto. All Rights Reserved
    স্বাগতম তৈরীকৃত abogoto.com