ভর ও ওজনের পার্থক্য কি ?
Share
আমাদের সাথে থাকুন এবং কোশ্চেন এবং জ্ঞান বিনিময় এর মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করুন।
আপনার পাসওয়ার্ডটি ভুলে গেলে এইখান থেকে রিসেট করে নিন । যে কোন সমস্যার জন্য আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন ।
Please briefly explain why you feel this question should be reported.
Please briefly explain why you feel this answer should be reported.
Please briefly explain why you feel this user should be reported.
আমরা প্রায়ই ভর আর ওজন এই দুটি শব্দ একই অর্থে ব্যবহার করি। কিন্তু বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে, এরা দুটি আলাদা জিনিস। আজকে আমরা জানবো এই দুইয়ের মধ্যে কী কী পার্থক্য।
ভর কী?
ভর হল কোনো বস্তুতে কত পরিমাণ পদার্থ আছে, তার পরিমাপ। এটা যেমন তোমার শরীরে কত পরিমাণ মাংস, হাড়, রক্ত আছে তার মতো। ভর কখনোই পরিবর্তন হয় না, তুমি চাঁদে যাও, মঙ্গলে যাও বা পৃথিবীর যেকোনো জায়গায় যাও, তোমার ভর একই থাকবে।
ওজন কী?
ওজন হল কোনো বস্তুর উপর পৃথিবীর আকর্ষণ বল। যেমন তুমি যখন জমিনে দাঁড়িয়ে আছ, তখন পৃথিবী তোমাকে তার দিকে টানছে। এই টানকেই আমরা ওজন বলি। ওজন পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে ভিন্ন হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, চাঁদে তোমার ওজন পৃথিবীর তুলনায় অনেক কম হবে, কারণ চাঁদের আকর্ষণ বল পৃথিবীর তুলনায় অনেক কম। কিন্তু তোমার ভর একই থাকবে।
ভর ও ওজনের মধ্যে পার্থক্য:
উদাহরণ: ধরো, তুমি একটি আপেল নিলে। আপেলের ভর সবসময় একই থাকবে, তুমি বাড়িতে রাখো, স্কুলে নিয়ে যাও বা চাঁদে নিয়ে যাও। কিন্তু আপেলের ওজন পৃথিবীতে এবং চাঁদে ভিন্ন হবে। পৃথিবীতে আপেলের ওজন বেশি হবে, কারণ পৃথিবীর আকর্ষণ বল বেশি। কিন্তু চাঁদে আপেলের ওজন কম হবে, কারণ চাঁদের আকর্ষণ বল কম।
উদাহরণ: একজন ছাত্র একটি ফুটবল নিয়ে খেলছে। ফুটবলের ভর পৃথিবীতে এবং চাঁদে একই থাকে, যেমন ৫ কেজি। কিন্তু ফুটবলের ওজন চাঁদে কম হয়, কারণ চাঁদের মাধ্যাকর্ষণ পৃথিবীর চেয়ে অনেক কম।
পৃথিবীতে মাধ্যাকর্ষণ ৯.৮m/s2 হলে ফুটবলের ওজন
চাঁদে মাধ্যাকর্ষণ ১.৬m/s2 হলে ওজন W=5×1.6=৮N।
সারসংক্ষেপ: ভর হল কোনো বস্তুর মধ্যে থাকা পদার্থের পরিমাণ, যা সর্বত্র একই থাকে। আর ওজন হল পৃথিবীর আকর্ষণ বল, যা স্থানভেদে পরিবর্তিত হয়।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে: আমরা বাংলাদেশে প্রায়ই ভর আর ওজন একই অর্থে ব্যবহার করি। কিন্তু বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে, এরা দুটি আলাদা জিনিস। এই পার্থক্য জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে যারা বিজ্ঞানের ছাত্র।