420 ধারা কি ?
Share
আমাদের সাথে থাকুন এবং কোশ্চেন এবং জ্ঞান বিনিময় এর মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করুন।
আপনার পাসওয়ার্ডটি ভুলে গেলে এইখান থেকে রিসেট করে নিন । যে কোন সমস্যার জন্য আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন ।
Please briefly explain why you feel this question should be reported.
Please briefly explain why you feel this answer should be reported.
Please briefly explain why you feel this user should be reported.
৪২০ ধারা হলো আমাদের দেশের ফৌজদারি কার্যবিধান সংহিতার একটি ধারা। এই ধারাটি মূলত প্রতারণার অপরাধকে সংজ্ঞায়িত করে। যখন কেউ কোনো ব্যক্তিকে মিথ্যা কথা বলে, তার উপর বিশ্বাস ফাঁদে ফেলে বা তার সাথে প্রতারণা করে তার কাছ থেকে কোনো কিছু নেয়, তখন সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ৪২০ ধারায় মামলা করা হয়। এছাড়াও আপনি বলতে পারেন, বাংলাদেশের দণ্ডবিধির ৪২০ ধারা প্রতারণার মাধ্যমে অন্যের সম্পত্তি বা অর্থ আত্মসাৎ করার অপরাধের জন্য শাস্তির বিধান করে। এটি সাধারণত সেই সকল ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয় যেখানে কোনো ব্যক্তি কারও সঙ্গে প্রতারণা করে আর্থিক বা অন্যান্য সুবিধা লাভ করেন। এই ধারা প্রতারণার অপরাধকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে এবং প্রতারিত ব্যক্তিকে ন্যায়বিচার প্রদান করে।
উদাহরণ:
এ ধরনের ঘটনায় ৪২০ ধারা প্রযোজ্য হতে পারে।
৪২০ ধারা কিভাবে গঠিত হয়েছিল?
৪২০ ধারা ব্রিটিশ আমলে প্রণীত হয়েছিল, যখন আইনব্যবস্থায় প্রতারণার মতো অপরাধের জন্য বিশেষ বিধান তৈরি করা হয়েছিল। এই ধারা প্রণয়নের মূল উদ্দেশ্য ছিল বাণিজ্যিক এবং ব্যক্তিগত ক্ষেত্রে প্রতারণামূলক কার্যকলাপ প্রতিরোধ করা এবং প্রতারকদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
৪২০ ধারায় কোন ধরনের শাস্তি প্রাপ্ত হতে হয়?
৪২০ ধারার অধীনে প্রতারণার জন্য নিম্নলিখিত শাস্তি প্রযোজ্য হতে পারে:
৪২০ ধারায় মামলা করতে হলে কোন কোন বিষয়গুলো লক্ষ্য করতে হবে?
১. প্রমাণের প্রয়োজনীয়তা: প্রতারণার অপরাধ প্রমাণ করার জন্য যথেষ্ট প্রমাণ এবং সাক্ষ্য থাকতে হবে।
২. প্রতারণার উদ্দেশ্য: প্রতারক ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর প্রতারণার উদ্দেশ্য এবং কার্যকলাপ সঠিকভাবে প্রমাণ করতে হবে।
৩. মামলার সময়সীমা: প্রতারণার ঘটনার পর যথাসময়ে মামলা দায়ের করতে হবে।
৪. আইনগত সহায়তা: প্রতারিত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে মামলার সময় একজন দক্ষ আইনজীবীর সহায়তা নিতে হবে।
এই ধারার আওতায় ব্যবস্থা কি হয়?
১. প্রতারণার প্রতিরোধ: ৪২০ ধারা প্রতারণার ঘটনা কমাতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
২. প্রতারিত ব্যক্তির সুরক্ষা: প্রতারিত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের আর্থিক ক্ষতি পুষিয়ে দিতে এই ধারা সহায়ক।
৩. আইনের কার্যকারিতা: এই ধারা আইনের কার্যকারিতা বাড়ায় এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রতারণার ঘটনায় কার্যকর পদক্ষেপ নিতে সহায়তা করে।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ৪২০ ধারা প্রতারণার বিরুদ্ধে কার্যকর ভূমিকা পালন করে এবং ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে প্রতারণার হাত থেকে রক্ষা করে।