আমাদের সাথে থাকুন এবং কোশ্চেন এবং জ্ঞান বিনিময় এর মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করুন।
আপনার পাসওয়ার্ডটি ভুলে গেলে এইখান থেকে রিসেট করে নিন । যে কোন সমস্যার জন্য আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন ।
Please briefly explain why you feel this question should be reported.
Please briefly explain why you feel this answer should be reported.
Please briefly explain why you feel this user should be reported.
অবগত.com এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যেখানে আপনি আপনার জ্ঞান শেয়ার করতে পারবেন পাশাপাশি বাংলা ভাষায় সম্পূর্ণ জ্ঞান / বিদ্যা শেয়ার করার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন ।
গ্রাম ও শহরের পার্থক্য কি ?
আমরা সবাই জানি যে আমাদের দেশে গ্রাম আর শহর দুই ধরনের জায়গা আছে। কিন্তু এই দুই জায়গার মধ্যে অনেক পার্থক্য আছে। আসুন জেনে নিই এই পার্থক্যগুলি। গ্রাম কী? গ্রাম হলো এমন একটি জায়গা যেখানে মানুষ কৃষি কাজ করে এবং প্রাকৃতিক পরিবেশে বাস করে। গ্রামে বাড়িগুলো সাধারণত একটু দূরে দূরে থাকে এবং চারপাশে খেত, বনRead more
আমরা সবাই জানি যে আমাদের দেশে গ্রাম আর শহর দুই ধরনের জায়গা আছে। কিন্তু এই দুই জায়গার মধ্যে অনেক পার্থক্য আছে। আসুন জেনে নিই এই পার্থক্যগুলি।
গ্রাম কী?
গ্রাম হলো এমন একটি জায়গা যেখানে মানুষ কৃষি কাজ করে এবং প্রাকৃতিক পরিবেশে বাস করে। গ্রামে বাড়িগুলো সাধারণত একটু দূরে দূরে থাকে এবং চারপাশে খেত, বন, বাগান থাকে।
শহর কী?
শহর হলো এমন একটি জায়গা যেখানে অনেক মানুষ একসাথে বাস করে। শহরে বাড়িগুলো ঘন ঘন করে থাকে এবং বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা, কারখানা, দোকানপাট থাকে। শহরে যানবাহনের আনাগোনা বেশি হয়।
গ্রাম ও শহরের মধ্যে পার্থক্য
উদাহরণ দিয়ে ব্যাখ্যা
ধরা যাক, বাংলাদেশের একটি গ্রামের নাম নবীনগর। এখানে কৃষকরা ধান চাষ করে, গরু-ছাগল পালন করে জীবিকা নির্বাহ করেন। তারা সকালে সূর্যোদয়ের সঙ্গে কাজ শুরু করেন এবং সন্ধ্যায় পরিবারের সাথে সময় কাটান।
অন্যদিকে, ঢাকা শহর একটি ব্যস্ত নগরী। এখানে মানুষ সকালে অফিসে যায়, দিনের বেশিরভাগ সময় ট্রাফিকে কাটায়, এবং রাতে বাড়ি ফিরে ক্লান্ত হয়ে ঘুমায়। শহরে শিক্ষার সুযোগ বেশি, তবে বায়ু দূষণও বেশি।
উপসংহার
গ্রাম ও শহরের জীবনযাত্রার মধ্যে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য থাকলেও দুটিই আমাদের সমাজের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। গ্রাম আমাদের খাদ্য উৎপাদনের মূল কেন্দ্র, আর শহর আমাদের অর্থনীতির চালিকাশক্তি। একে অপরের উপর নির্ভরশীল এই দুই এলাকা আমাদের জীবনের ভারসাম্য রক্ষা করে।
See lessটাইপ ১ ও টাইপ ২ ডায়াবেটিস এর পার্থক্য কি ?
আমরা প্রায়ই শুনি ডায়াবেটিস রোগ সম্পর্কে। কিন্তু ডায়াবেটিস এক ধরনের নয়, এর বিভিন্ন ধরন আছে। এর মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ দুটি হলো টাইপ ১ এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিস। আজকে আমরা জানবো এই দুই ধরনের ডায়াবেটিসের মধ্যে কী কী পার্থক্য আছে। টাইপ ১ ডায়াবেটিস কী? টাইপ ১ ডায়াবেটিস এক ধরনের অটোইমিউন রোগ। অটোইমিউন মাRead more
আমরা প্রায়ই শুনি ডায়াবেটিস রোগ সম্পর্কে। কিন্তু ডায়াবেটিস এক ধরনের নয়, এর বিভিন্ন ধরন আছে। এর মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ দুটি হলো টাইপ ১ এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিস। আজকে আমরা জানবো এই দুই ধরনের ডায়াবেটিসের মধ্যে কী কী পার্থক্য আছে।
টাইপ ১ ডায়াবেটিস কী?
টাইপ ১ ডায়াবেটিস এক ধরনের অটোইমিউন রোগ। অটোইমিউন মানে হলো, শরীর নিজের কোষগুলোকে আক্রমণ করে। এই রোগে শরীরের ইনসুলিন নামক একটি হরমোন তৈরি করা বন্ধ হয়ে যায়। ইনসুলিন আমাদের খাবার থেকে শক্তি পাওয়ার জন্য গ্লুকোজকে কোষে পৌঁছে দেয়। তাই ইনসুলিন না থাকলে শরীরে গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে যায় এবং ডায়াবেটিস হয়।
টাইপ ২ ডায়াবেটিস কী?
টাইপ ২ ডায়াবেটিস সাধারণত জীবনযাত্রার কারণে হয়। যেমন, অতিরিক্ত খাওয়া, কম শারীরিক পরিশ্রম করা, ওজন বেশি হওয়া ইত্যাদি। এই ধরনের ডায়াবেটিসে শরীর ইনসুলিন তৈরি করতে পারে, কিন্তু কোষগুলো ইনসুলিনের প্রতি স্পন্দের হার কমে যায়। ফলে শরীরে গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে যায়।
টাইপ ১ ও টাইপ ২ ডায়াবেটিসের মধ্যে পার্থক্য
উদাহরণ:
মনে রাখতে হবে:
- ডায়াবেটিস একটি গুরুতর রোগ।
- ডায়াবেটিসের লক্ষণ দেখা দিলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
- সুস্থ জীবনযাপন এবং সঠিক খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে টাইপ ২ ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করা যায়।
See lessদূরত্ব ও সরণের মধ্যে পার্থক্য কি?
আমরা প্রায়ই দূরত্ব ও সরণ শব্দ দুটি ব্যবহার করি। কিন্তু অনেকের কাছেই এই দুটি শব্দের মধ্যে স্পষ্ট পার্থক্য থাকে না। আসুন জেনে নিই এই দুটির মধ্যে কী কী পার্থক্য। দূরত্ব কী? দূরত্ব হলো কোনো বস্তু যে পথ অতিক্রম করে, তার মোট দৈর্ঘ্য। এটা যেন একটা সুতোর গোলা, তুমি যত বেশি সুতো খুলবে, দূরত্ব তত বেশি হবে। দRead more
আমরা প্রায়ই দূরত্ব ও সরণ শব্দ দুটি ব্যবহার করি। কিন্তু অনেকের কাছেই এই দুটি শব্দের মধ্যে স্পষ্ট পার্থক্য থাকে না। আসুন জেনে নিই এই দুটির মধ্যে কী কী পার্থক্য।
দূরত্ব কী?
দূরত্ব হলো কোনো বস্তু যে পথ অতিক্রম করে, তার মোট দৈর্ঘ্য। এটা যেন একটা সুতোর গোলা, তুমি যত বেশি সুতো খুলবে, দূরত্ব তত বেশি হবে। দূরত্ব কখনো ঋণাত্মক হয় না।
সরণ কী?
সরণ হলো কোনো বস্তুর প্রাথমিক এবং চূড়ান্ত অবস্থানের মধ্যকার সরলরেখা দূরত্ব। এটা যেন তুমি এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাওয়ার সময় সরাসরি যে পথ পাবে, সেই পথের দৈর্ঘ্য। সরণের একটি দিক থাকে।
দূরত্ব ও সরণের মধ্যে পার্থক্য
বাস্তব অভিজ্ঞতা:
বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন স্কুলে যাওয়ার সময় একটি নির্দিষ্ট দূরত্ব অতিক্রম করে। তবে তাদের বাড়ি থেকে স্কুলের সরাসরি দূরত্বই সরণ হিসেবে গণ্য হয়।
মনে রাখতে হবে:
দূরত্ব এবং সরণ দুটিই গতির পরিমাপের একক। কিন্তু দূরত্ব শুধুমাত্র পথের দৈর্ঘ্যকে নির্দেশ করে, আর সরণ শুরুর জায়গা থেকে শেষ জায়গার মধ্যকার সরলরেখা দূরত্বকে নির্দেশ করে।
See lessমৌলিক ও যৌগিক পদার্থের পার্থক্য কি কি?
আমরা প্রতিদিন যেসব জিনিস দেখি বা ব্যবহার করি, তার সবই পদার্থ দিয়ে তৈরি। এই পদার্থগুলোকে মূলত দুই ভাগে ভাগ করা যায়: মৌলিক পদার্থ এবং যৌগিক পদার্থ। আসুন জেনে নিই এই দুটির মধ্যে কী পার্থক্য। মৌলিক পদার্থ কী? মৌলিক পদার্থ হলো এমন একটি পদার্থ যাকে আরও ছোট ছোট কণায় ভাগ করলে সেই কণাগুলো আরও একই ধরনের পদRead more
আমরা প্রতিদিন যেসব জিনিস দেখি বা ব্যবহার করি, তার সবই পদার্থ দিয়ে তৈরি। এই পদার্থগুলোকে মূলত দুই ভাগে ভাগ করা যায়: মৌলিক পদার্থ এবং যৌগিক পদার্থ। আসুন জেনে নিই এই দুটির মধ্যে কী পার্থক্য।
মৌলিক পদার্থ কী?
মৌলিক পদার্থ হলো এমন একটি পদার্থ যাকে আরও ছোট ছোট কণায় ভাগ করলে সেই কণাগুলো আরও একই ধরনের পদার্থ হবে। উদাহরণস্বরূপ, সোনা, রূপা, অক্সিজেন এই সবই মৌলিক পদার্থ। তুমি যদি একটি সোনার টুকরাকে ছোট ছোট টুকরো করে ভাগ করতে থাকো, তাহলে প্রতিটি টুকরোতে সোনা ছাড়া আর কিছুই পাবে না।
যৌগিক পদার্থ কী?
যৌগিক পদার্থ হলো এমন একটি পদার্থ যাকে ছোট ছোট কণায় ভাগ করলে ভিন্ন ভিন্ন ধরনের পদার্থ পাওয়া যাবে। উদাহরণস্বরূপ, পানি। পানিকে যদি ভাগ করতে থাকো, তাহলে হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেন নামে দুটি ভিন্ন মৌলিক পদার্থ পাবে।
মৌলিক ও যৌগিক পদার্থের মধ্যে পার্থক্য
বাস্তব অভিজ্ঞতা:
বাংলাদেশের গ্রামীণ ও শহরাঞ্চলে মৌলিক পদার্থ যেমন লোহা ও তামা গৃহস্থালী কাজ ও নির্মাণে ব্যবহৃত হয়। অপরদিকে, পানি এবং রান্নার লবণ আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অপরিহার্য যৌগিক পদার্থ।
মনে রাখতে হবে:
আমাদের চারপাশে যেসব জিনিস দেখি, তার সবই মৌলিক বা যৌগিক পদার্থ দিয়ে তৈরি। তাই পদার্থ সম্পর্কে জানা খুবই জরুরি।
See lessরাষ্ট্র ও সমাজের মধ্যে পার্থক্য কি ?
আমরা প্রায়ই রাষ্ট্র ও সমাজ শব্দ দুটি ব্যবহার করি। কিন্তু এই দুটি শব্দের মধ্যে আসলে কি পার্থক্য? আসুন জেনে নিই। রাষ্ট্র কী? রাষ্ট্র হলো একটি নির্দিষ্ট ভৌগোলিক এলাকা, যেখানে একদল মানুষ একসাথে বসবাস করে। এই রাষ্ট্রের নিজস্ব আইন-কানুন, সরকার এবং সেনাবাহিনী থাকে। রাষ্ট্রের কাজ হলো তার নাগরিকদের সুরক্ষাRead more
আমরা প্রায়ই রাষ্ট্র ও সমাজ শব্দ দুটি ব্যবহার করি। কিন্তু এই দুটি শব্দের মধ্যে আসলে কি পার্থক্য? আসুন জেনে নিই।
রাষ্ট্র কী?
রাষ্ট্র হলো একটি নির্দিষ্ট ভৌগোলিক এলাকা, যেখানে একদল মানুষ একসাথে বসবাস করে। এই রাষ্ট্রের নিজস্ব আইন-কানুন, সরকার এবং সেনাবাহিনী থাকে। রাষ্ট্রের কাজ হলো তার নাগরিকদের সুরক্ষা দেওয়া, আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং দেশের উন্নয়ন করা।
সমাজ কী?
সমাজ হলো মানুষের একটি গোষ্ঠী যারা একসাথে বাস করে এবং পরস্পরের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করে। সমাজে মানুষের বিভিন্ন ধরনের সম্পর্ক থাকে, যেমন পরিবার, বন্ধু, প্রতিবেশী ইত্যাদি। সমাজে মানুষের নিজস্ব সংস্কৃতি, রীতি-নীতি, এবং ধারণা থাকে।
রাষ্ট্র ও সমাজের মধ্যে পার্থক্য
বাস্তব অভিজ্ঞতা:
বাংলাদেশে রাষ্ট্র ও সমাজ একে অপরের পরিপূরক। রাষ্ট্র আইন ও শৃঙ্খলা বজায় রাখে, আর সমাজ মানুষের পারস্পরিক সম্পর্ক ও সংস্কৃতি ধরে রাখে। উদাহরণস্বরূপ, একটি গ্রামীণ সমাজে বিবাদ মেটানোর জন্য স্থানীয় সমাজপতিরা উদ্যোগ নেন, কিন্তু রাষ্ট্রের আইন প্রয়োগ করতে হলে থানায় যেতে হয়।
মনে রাখতে হবে:
রাষ্ট্র এবং সমাজ একে অপরের উপর নির্ভরশীল। রাষ্ট্র ছাড়া সমাজ সঠিকভাবে চলতে পারে না, আবার সমাজ ছাড়া রাষ্ট্রের কোনো অর্থ হয় না।
See lessআটা ও ময়দার মধ্যে পার্থক্য কি?
আমরা প্রায়ই রান্নাঘরে আটা বা ময়দা ব্যবহার করি। কিন্তু অনেকেই হয়তো জানেন না যে আটা এবং ময়দার মধ্যে কিছু পার্থক্য আছে। আসুন জেনে নিই এই দুটির মধ্যে কী কী পার্থক্য। আটা কী? আটা হলো গমের দানাকে পিষে তৈরি করা একটি গুঁড়ো। গমের দানার খোসা সহ পুরোটাকে পিষে আটা তৈরি করা হয়। তাই আটায় গমের দানার সব পুষ্Read more
আমরা প্রায়ই রান্নাঘরে আটা বা ময়দা ব্যবহার করি। কিন্তু অনেকেই হয়তো জানেন না যে আটা এবং ময়দার মধ্যে কিছু পার্থক্য আছে। আসুন জেনে নিই এই দুটির মধ্যে কী কী পার্থক্য।
আটা কী?
আটা হলো গমের দানাকে পিষে তৈরি করা একটি গুঁড়ো। গমের দানার খোসা সহ পুরোটাকে পিষে আটা তৈরি করা হয়। তাই আটায় গমের দানার সব পুষ্টিগুণ থাকে। আটা দিয়ে আমরা রুটি, পরোটা, পিঠা ইত্যাদি তৈরি করি।
ময়দা কী?
ময়দাও গম থেকে তৈরি, কিন্তু আটার থেকে একটু ভিন্ন। ময়দা তৈরি করার সময় গমের দানার খোসা ছাড়িয়ে ফেলা হয়। শুধুমাত্র ভেতরের সাদা অংশকে পিষে ময়দা তৈরি করা হয়। তাই ময়দায় আটার মতো সব পুষ্টিগুণ থাকে না। ময়দা দিয়ে কেক, বিস্কুট, পাস্তা ইত্যাদি তৈরি করা হয়।
আটা ও ময়দার মধ্যে পার্থক্য
উদাহরণ:
কেন আটা খাওয়া ভালো?
আটায় ফাইবার, ভিটামিন এবং খনিজ লবণ প্রচুর পরিমাণে থাকে। এগুলো আমাদের শরীরের জন্য খুবই জরুরি। ফাইবার আমাদের হজমে সাহায্য করে এবং অনেক রোগ থেকে রক্ষা করে।
কেন ময়দা খাওয়া খুব বেশি ভালো না?
ময়দায় ফাইবার, ভিটামিন এবং খনিজ লবণ খুব কম থাকে। বেশি ময়দা খেলে আমাদের শরীরে চর্বি জমতে পারে এবং বিভিন্ন রোগ হতে পারে।
উপসংহার:
আটা এবং ময়দা দুইটিই গম থেকে তৈরি হলেও এদের মধ্যে অনেক পার্থক্য আছে। পুষ্টিগুণের দিক থেকে আটা ময়দা থেকে অনেক ভালো। তাই আমাদের উচিত যতটা সম্ভব আটা দিয়ে তৈরি খাবার খাওয়া।
মনে রাখবেন:
- সব ধরনের আটা এবং ময়দা একই রকম হয় না।
- বিভিন্ন ধরনের গম থেকে বিভিন্ন ধরনের আটা এবং ময়দা তৈরি করা হয়।
See lessইনভার্টার ও নন ইনভার্টার এসির মধ্যে পার্থক্য কি ?
গরমের দিনে ঘরকে ঠান্ডা রাখতে আমরা সবাই এসি ব্যবহার করি। কিন্তু এসি কিনতে গিয়ে অনেকেই ইনভার্টার আর নন-ইনভার্টার এসির মধ্যে পার্থক্য বুঝতে পারেন না। আসলে, এই দুই ধরনের এসির কাজ করার পদ্ধতি অনেকটা ভিন্ন। আজকে আমরা জানবো এই দুটির মধ্যে কী কী পার্থক্য আছে। ইনভার্টার এসি কী? ইনভার্টার এসি হলো এমন একটি এসRead more
গরমের দিনে ঘরকে ঠান্ডা রাখতে আমরা সবাই এসি ব্যবহার করি। কিন্তু এসি কিনতে গিয়ে অনেকেই ইনভার্টার আর নন-ইনভার্টার এসির মধ্যে পার্থক্য বুঝতে পারেন না। আসলে, এই দুই ধরনের এসির কাজ করার পদ্ধতি অনেকটা ভিন্ন। আজকে আমরা জানবো এই দুটির মধ্যে কী কী পার্থক্য আছে।
ইনভার্টার এসি কী?
ইনভার্টার এসি হলো এমন একটি এসি যা ঘরের তাপমাত্রা অনুযায়ী নিজের গতি পরিবর্তন করতে পারে। যেমন, যখন ঘর খুব গরম হয়, তখন এটি বেশি শক্তি খরচ করে এবং ঘর ঠান্ডা হয়ে গেলে কম শক্তি খরচ করে। এটি একটি স্মার্ট ফ্রিজের মতো কাজ করে।
নন-ইনভার্টার এসি কী?
নন-ইনভার্টার এসি হলো সাধারণ ধরনের এসি। এটি শুধুমাত্র দুই অবস্থায় থাকে: চালু অথবা বন্ধ। যখন ঘর গরম হয়, তখন এটি পুরো শক্তিতে চলে এবং ঘর ঠান্ডা হয়ে গেলে বন্ধ হয়ে যায়। তারপর আবার গরম হলে আবার চালু হয়।
ইনভার্টার ও নন-ইনভার্টার এসির মধ্যে পার্থক্য
বাস্তব অভিজ্ঞতা:
বাংলাদেশের মতো দেশে, যেখানে বিদ্যুতের খরচ একটি বড় চিন্তার বিষয়, ইনভার্টার এসি দীর্ঘমেয়াদে অর্থ সাশ্রয় করতে সাহায্য করে। যদিও এর দাম শুরুতে বেশি, তবে এটি বিদ্যুৎ বিল কমিয়ে দেয়। অন্যদিকে, নন-ইনভার্টার এসি কম দামের জন্য সহজলভ্য হলেও বিদ্যুৎ খরচ বেশি হয়।
কোনটি বেছে নেবেন?
ইনভার্টার এসি বেশি দামি হলেও দীর্ঘমেয়াদীতে এটি বেশি লাভজনক। কারণ এটি কম বিদ্যুৎ খরচ করে এবং ঘরকে আরামদায়ক রাখে। তবে, যদি তোমার বাজেট কম হয়, তাহলে তুমি নন-ইনভার্টার এসিও নিতে পারো।
কোনটি ভালো?
দুই ধরনের এসিরই নিজস্ব ভালো দিক ও খারাপ দিক আছে। তোমার প্রয়োজন এবং বাজেট অনুযায়ী তুমি সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারো।
উপসংহার:
ইনভার্টার এসি এবং নন-ইনভার্টার এসির মধ্যে মূল পার্থক্য হলো কম্প্রেসরের কাজ করার পদ্ধতি। ইনভার্টার এসি বেশি দামি হলেও এটি বিদ্যুৎ বাঁচায় এবং পরিবেশবান্ধব।